ঋতবান,ফিঙে নেচেছিল বুঝি চোখের তারায় ?
গুরু নিতম্বের ওলোটপালট কলেরাডো স্রোতে
ফাঁকি দিয়ে শুয়েছো তো রাতখেলা শেষে
মিলেমিশে পাশাপাশি হাত সেঁকে নিতে।
যদি জাগো, চলেএসো ব্যস্ত দিনের পর
খানিক হেঁটে আসি এদিক -সেদিক
দেখে রাখি ঠিক ঠিক আছে কিনা
বারকোডে ষোড়শী চুম্বনের আকাশদীপ।
এ মুলুকে সমাধিফলক আগেতো হয়নি
ঋতবান,বিষ জমেছে না ! চোখের কানাচে ?
কানাকানি হয়নি স্বপ্নিল রাজকীয় উচ্ছাস?
নিশ্চুপ দাঁড়িয়েছ মাটির ওপর
কারো কি আসার কথা নিবিড়ের আঁচে !
আদিমের রোগ মেখে পুরুষ সুবাসে-
কবে যেন দেখা গেলো লোমহীন সহ্যগুলো
ফুলছাপে সেজে আছে বিছানা বালিশে ।
শতাব্দী প্রেমিক তুমি ঋতবান,
কলমি ঝোপের ফাঁকে ফেনায়িত চাঁদ দেখে
পোয়াতি আঙুলে একদিন ছিঁড়েছিলে নাগপাশ
হৃদয় চেয়েছিলে শুধু !
পেয়েছ তাবৎ পার্থিব গতি
ঘৃণার চরমে দহণের স্বীকারোক্তি !
কবর নিছক আজ মাটির সম্মতি নয়
কোনো কোনো বৃষ্টিরাতে অনুকুল আলো পেলে
বিধবার ধবধবে স্পন্দিত হয়
কথারা ভ্রমর হয়ে অস্ফুটে ফোটে।
প্রকৃত সরণ বলে মোটে কিছু নাই আছে যা প্রমাদ ...
ভেজা রুমালের বেআব্রু ফাঁকি আমাদের অগত্যা ছিরিছাঁদ ।