আমায় তুমি ডাকতে ছোট শালি বলে
এই তোসেদিনও মানে দশদিনের আগের রোববার
ফোন তুলতেই জানালে--ছোট শালি জায়গা রেখো।
খানিক চুপ দেখেই ফের ওপাশ থেকে, - আরে তোমার শেষ লেখা কবিতা
জায়গা রাখো দুর্দান্ত।
খানিক নকল রাগ দেখিয়েই জবাব করলাম, - শেষ কবিতা কেন হবে
জামাইবাবু? আমিতো রোজই লিখি
তুমি কিনা সবটা পড়ে উঠতে পারোনা! আজ লিখলাম -- ফুল না ফুটলে।পড়বে কিন্তু। বলেছিলে -- পড়বো সময় পেলে।
সময় আর তোমায় দাক্ষিণ্য করেনি। তোমাকে না আমাকে? কি জানি!
আমার উনির কাছে শোনা তুমি নাকি তার দিদির গলায়, " আমার
মল্লিকাবনে" গানটি অবাক চোখে শুনেই
এক কথায় বিয়েতে রাজী হয়েছিলে।
একটি গানে ফুটেছিলো একটি বিয়ের ফুল।
তুমি আমার গান, কবিতা, আর সবটুকু ভালোর দখল নিয়েছিলে।
আমার কি দোষ বলো? আমি তোমায় মানুষ ভাবতে পারিনা?
'দোষে গুণে ভরা মানুষ -- নইলে সে ভগবান'
-ছোটোকাল থেকে এই শিক্ষেই পেয়েছি।
তাইতো ভগবান মানেই তুমি জামাইবাবু।
আমি শুধু কেন,তোমার বাতাসে যারা নিঃশ্বাস নিয়েছে
তারা সক্কলেই এই কথা বলবে।
আজ সকাল থেকে ঝলমলে রোদ উঠেছে জানো?
তোমার সেই সেদিনের কথাখানি মনে করাতে হয়তো!
ওই যে গো, তুমি একদিন আমাকে রাগাতেই বুঝি বলেছিলে,
- যেদিন আমি থাকবোনা, তুমি একটা আলোর গান গেয়ো।
ধরো সে গানে যদি আলো না থাকে,ধরে বেঁধে এনো।
তুমি আলোর দেশে পৌঁছে গেছো জামাইবাবু?
শুনতে পাচ্ছো? আমি গাইছি আলোর গান
সারা শরীর রোদ মেখে গান গাইছি তোমাকে শোনাতে,
--আমার পরাণ বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান, তার নাইকো বাণী, নাইকো ছন্দ,
নাইকো তান
তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও।
আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে
দাও...