খড়ম
~~অদিতি চক্রবর্তী
--------------------
আটাত্তরের পা হাঁটছে
পথ ভাঙছে,পথে কাটছে পা
চোখবোজা চোখ খুলছে,আদুল হচ্ছে গা।
জীবন সত্য,মৃত্যু সত্য,
মিথ্যা যাপনে আজ অকথ্য দাগ
ইরেজার নেই সংসারে যার
পা'জোড়া তার পিছলে দুটি ভাগ।
রক্ত কমে,রক্ত ক্রমে ঠোঁটের কষে
জোঁকের দলও জোকার সেজে রক্ত চোষে
পা জানতো হাতের যাদু
হাত কিকরে সামলায় পোড়া ঘা
হাতের ক্ষত ও কসরতে জানে হাতের কতোটা কাছে মুখের হাঁ
সব হাঁ মুখ বোজাবার পর
যখন একটু বাতাস আসার কথা---
জানলা তখুনি কপাট বুজিয়ে
বুঝিয়ে দিলো বৃষ্টি দিনের ব্যথা
চোখের দৃষ্টি অশ্রুবৃষ্টি ভিজে জেরবার, নগ্ন
একটা মাথা চাটতে তখুনি
চারপেয়ে কিছু মগ্ন।
জীবন সত্য, মৃত্যু সত্য
নাটুকে কেবল যাপন
দিন,মাস,কাল,বছর ঘুরে
চলছে চৌকি চাপন।
আপন বাপন ভুল পথে গিয়ে
নুইয়েছে শিরদাঁড়া
বৃদ্ধ আজকে বুদ্ধি ছাড়িয়ে
ছুটছে পাড়া, ওপাড়া
হাতটি নিজের,মাথাও নিজের
ছাদ ও মাটি সবটাতে যার দাবী
সেই বৃদ্ধই ভাবছে মৃত্যু কিভাবে খাওয়াবে খাবি!
আপন বাপন ছিনিয়ে নিয়েছে
মাথার ওপর ছত্র
ছত্রছায়ায় রক্ষিত  যা যা
পরিচয় নথিপত্র
রক্তাক্ত পথের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাপ
বৃদ্ধ জানেনা কতোটা পুন্যে লুকিয়ে থাকে পাপ
একটি হাতের আশকারা আছে যে হাত খড়্গহস্ত
আসুক খাঁড়াটি মুণ্ডু নামাক
যে মাথাটি প্রশস্হ
যে মাথা সমাজ কলুষিত করে
যে মাথা চিবোয় প্রেম
সে মাথাগুলিতে হেঁটে যাক্ বুড়ো
খড়ম তুলে দিলেম।