খেলা
অদিতি চক্রবর্তী
------
এই যে তুমি আমায় নিয়ে
করছো খেলা,
খেলার নিয়ম আলগা হলেও
আমার বেলা
মাফ করছো রাতজাগা আর
দরকারি কাজ
ফেলে রাখার রোজের কিছু
রপ্ত রেওয়াজ
দেওয়া নেওয়ার ফাঁকটুকুতে
ধূলোর পরত
বসছে উঁচু জমাচ্ছে এক
লাল ইমারত।
সেই ধুলোতে সম্ভাবনার
ঘূর্ণিঝড়ে
বেশ উদাসীন নজর রাখো
আঁতুরঘরে
আমিও তখন সুযোগ বুঝে
দিন প্রতিদিন
ভাঙছি পাঁচিল, সরাচ্ছি ইট,
যেন প্রাচীন--
নাক গলিয়ে টানছি সুবাস
নবীন হাঁড়ির।
বেবাক অন্ধ বোবা কালা
সেজে খাঁড়ির--
মুখের হাঁ-কে টিপবোতামে
আটকে দিতে
তুমিও প্রবল বিশ্বাসী। আর
ধূুর্ততাতে--
গলার স্বরে তুফান তুলে
বলব ভাবি
আমিও তোমার আদুল প্রেমে
খাচ্ছি খাবি
নাটুকে হই, বাহাত্তুরের
দস্যিপনা
আড়াল রেখে সম্ভাবনার
সত্যিখানা
চোখের পাতায় বনলতার
স্বপ্ন আঁকি
ঠোঁট ভাঙিয়ে ভাঙা গড়ার
লড়াই রাখি
তারপরে ঠিক আত্মসুখে
নিজের গালে
চুমুর পরে চুমু বসাই
দাদরা তালে
ভাবতে থাকি ছ'মাস বাকি
বিদেশ যেতে
তারপরে কোন কাঁচকলাটা
আমার ক্ষেতে ?
ঝাঁ-চকচকে মহল্লাতে
চৌকি চাপন,
চলবে তখন।কে কোথাকার
আপন,বাপন ?
কাগুজে সব পাতাবাহার
ঘরোয়াসুলভ,
শ্রী বাড়াবে।জারুলের রঙ
নাহলে মভ
অমলতাসও দিব্যি বাঁচে
ভালোবাসায়
হলুদ রঙের বাসন্তিকা
মিথ্যা আশায়
যাপন সাজায় জীবন নামক
খেলার ঘরে,
খেলতে থাকে টেক্কা, সাহেব,
গোলাম ধরে
কখন যে কোন কাটার ঘরে
শুন্য বসে
ভুল করে দেয় খেলার মজা
আঙুল দোষে!
মিথ্যে এসব ভাবনা এবার
সরিয়ে রাখি
অন্য খেলায় নাম লেখালাম,
খেলবে নাকি ?
....নাগপুর