এককোনে পরে আছে একফালি আলো
বরফের রাত্রিটা এতোই ধারালো--
ধোঁয়া ওঠা চা-এ কথামালা
ভাঁড় বয়ে চুমুকের আরাম বাড়ালো।
কতো কথা কুয়াশায় খেলার ছলে
ফিকে হয়ে মিশে যায় আকাশ আঁচলে
আমি জানি তুমি সব জানো
হলুদ চিঠির সেই শেষের স্তবক
বৃষ্টির সিম্ফনি,মোমের আলো
পশমছোঁয়াচে পিছুটান আটকানো
কতকিছু বলেছি সেদিন
কে বেশি বোকা ছিলো গলা ছেড়ে বলি?
নদী না পাহাড়?নাকি বনস্হলী?
আজ কেন একা আলো
আজ কেন গুছিয়ে আড়াল রাখে ভোর
দীর্ঘ অতীতকালে ঝড় রেখে সে ও
বহতা আঁধার মেখে পায়নি ঠাহর।
নতুন আগুন দেখে ছায়াকে মুছে
পাথরের বুক ঠুকে চিঠিও জ্বালালো!
ভেঙে যাওয়া কথাদের আলতো অসুখে
বেয়াদপ কিছু ভাষা বিষয় ছাড়াই
ঘুরপাক খেয়েছিলো
বালির ঘড়ির মতো ছলে
এখন চাঁদের আদলে,
কাঁচ ঢাকা বিজলি বাতিটা
ঘুম খুঁজে রাত জাগে আরশিমহলে।
আদরের দাগগুলো কালশিটে হয়ে
তেষ্টায় ইচ্ছের আঙুল বাড়ায়
নিখিলেশ,একফালি আলো
কেন ফেলে গেলে এককোনে?
কি ছিলো সে ত্রুটি?
না মেটালে ঋণ,না ছেটালে কাদা
শুধু প্রজাপতি হয়ে ছুটে গেলে রঙমাখা ফুলে
কি হবে তখন?খসে যদি ঝুটো ডানা দুটি?
উষ্ণ গরম জলে অল্প চা পাতা ফেলে গল্প ঢেলেছি
জিভও টের পায় মুচমুচে স্বাদ
জং ধরা নীরবতা সহজে ভাঙতে পারে
আবেগের টিন
শোনো,ঐ শোনো নিখিলেশ
একফালি আলো ক্রমে সুখের তলানি থেকে তুলে নিলো লাল ভায়োলিন।