ও আমার কৃষ্ণচূড়া
লাল তার পাপড়ি মেলে
গ্রীষ্মের সন্ধ্যাবেলায়
রুম্পির খোঁপার চুলে।
টিউশন ভাঙার সময়
লালঠোঁট মিষ্টি হাসি
আমি তার একটু দূরে
মোলো-যা সব্বনাশী !
কথারা বকমবকম
বুঝিনা রকমসকম
কখনো রাগ অভিমান,
কখনো বর্ষার গান।
ও আমার কৃষ্ণচূড়া
সূ্য্যি ডুবেছে টুপ
বলছে বিহান বেলা
আর নয় এইবারে চুপ্।
ঐ দেখ্ চাঁদ উঠেছে,
লুঠছে পূর্ণকলায়
ছুঁয়েছে ওষ্ঠ-অধর,
পা চালা,রাত বেড়ে যায়।
ও আমার কৃষ্ণচূড়া
জোৎস্নার নরম আলোয়
পাঁচজোড়া পা দেখা যায়,
পাঁচজোড়া চেন আটকায়,
প্রেম তোর ধুলায় লুটায়!
থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়া
ফুটেছিস্ রাস্তা জুড়ে
পাঁচজোড়া পা সরেছে,
পার্টির টিনের ঘরে
পরদিন ভোর পাঁচটা
পুকুরের স্নান ঘাটটা
কলমীর ঝোপের পাশে,
রুম্পির লাশটা ভাসে
পাঁচ জোড়া পাও এলো,
চালালো ফটোসেশন
কাগজের প্রথম পাতা
লালফুল সাজল এখন
এভাবেই কেষ্টরা রোজ,
লাল লাল ফুলগুলিতে
নখদাঁতে শান দিয়ে যায়,
স্টেটাসের শান বাড়াতে
দূরে কিছু অশোক বাবু
সামলায় নিজের হবু
যদি তার জানলা পাশে,
লাল এক পলাশ আসে?
পলাশের শাস্তি যে নেই,
কেননা "সাজানো সব এই"
ঘটনার প্রমাণ কোথায়?
থাকলেও লোপাট যে হায়!
ও আমার কৃষ্ণচূড়া
টুকটুকে লাল পাপড়ি
আজকাল শীত, গ্রীষ্ম,
ফুটে থাক বছরভরই।