আমাদের বর্ষার দিন দেখা মেকি মুখোশে সু- আচ্ছাদিত
বিন্দু বিন্দু তোমার প্রপাত সেদিনও অপেক্ষায়
সুদূরের শালবনে জোৎস্নার বিনয়ে কিছু নৈঃশব্দবাতাসে
সুরে সুরে গান হয়ে মিশেছিল পুকুরের পাড়
তুমিও প্রদীপ জ্বেলে সাজঘরে রেখেছিলে সভাস্হিত চেয়ার।
অর্নিবাণ অরণ্য চেয়েছিলে তুমি
স্রোতছুঁয়ে যেভাবে সুনসান চরভূমি -
আঙুলের স্পর্শদাগ রেখে যায় শস্য-সমতলে
মোহানার ডাক দিয়ে আজ আমি তোমাদের- ই দলে ।
সৃতিতাপের নীচে নিরন্তর ক্ষয় নদীকেও ডেকে নেয়
জায়মান আলোর মতো জেগে থাকে প্রিয় কিছুটা সময়।
চলমান পৃথিবী দেখবার ছলে
ভাষা চাটুকারিতায় চাঁদের বাগানে ফুল রেখে গেলে
পৃথিবীর বিন্যাসে ঘাসফুল ও কতো অবিরোধে থাকে
একেক বাতাসকণা আকুল আঘ্রাণে পিছুপিছু ডাকে ।
ক্রমাগত বর্ণিল ঢেউ ভেঙে যায় ফেনায় ফেনিল
সমুদ্র শরীর জুড়ে লিখে দেয় গুটিকয় ব-দ্বীপ দলিল ।
তবু জেনো যাবতীয় বসবাস আমার অভ্যাস দাস নয়
এখনো মেঘের শাঁখে উলুধ্বনি ভেসে এলে
চন্দ্রভাগা পূর্ণ করে ঘট, শুরু হয় আমার বর্ষার দিন
ভালোবাসা পারাপারহীন ...
তবুও তো ঘিরে থাকো তুমি
রাহুগ্রস্ত পঞ্চনদে ঘিরে থাকে তর্পনের আবহ এ ঋণ।