মোটামুটি একবৃষ্টি জল
আর এক চিবুক হাসি পেলেই তোমার সমগ্রটুকু
বিরাম চিহ্নের দিকে তাকিয়ে 'চলি' বলা হয়নি
সুসময়ের গভীরে যতটা টানাপোড়েন ঠিক ততটাই বৈতরণী ।
ছায়াহীন দীর্ঘায়ু ,খুঁটে খাওয়া , সাজিয়ে রেখেছি অভ্যাসে
মাস থেকে মাসে চলে যাওয়া মানে ক্যানভাসে তরল বিস্মৃতি।
আমি যথারীতি গাছেদের দিকে পাশ ফিরে শুই
কণ্ঠের বিনিময়ে বিলিয়ে দিই চরিত্রযাপন ।
শামুকের চটচটে কবেই তো প্রাচীনের মৃত প্রবচন !
নখে,দাঁতে ও প্রতিটি খিটিমিটির কাছে
সাজিয়ে নিয়েছি বোধ ।
সামান্য আগুপিছু অক্ষর সামলে দো -আঁশলা জমির বিরোধ।
ক্রোধ ,আলিঙ্গনে, নিষেধ যে কথা শোনে
সেই চাবুকের সপাং ,ঘরোয়াসুলভ ক্ষণে ।
নিভন্ত আগুনের ডানা একা বসে চিঠি লেখে স্বজনের নামে
নীল-সাদা পুঁচকে ফোলানো রাগ
টুকি হয়ে লিখে যায় জীবন, মৃত্যুর দামে ।
যে তুমি, তূণীর থেকে উঠিয়েছ তীর
পরিযায়ী হাওয়া শুধু তার ক্রন্দন।
অন্ধকারও পুড়ে ...পুড়ে ...পুড়ে ...ভোর হয় প্রায় -
তারপরেও আরো কিছুতো রয়ে যায় নিজের মতন !
অসময়, গ্রাফখাতা, হালফিল , সবুজ কালি
নিয়মিত হতে খালি আগের মতো ঘষে ঘষে
ফেনা করে তুলে নিই চটচটে ঘৃণা
এই পর্যন্ত আমি হত্যার দিকে কেবল যেতেই পারিনা ।