ইচ্ছেফুলে লেপ্টে থাকা ইচ্ছারেণু মাখব বলে
যেইনা গাঁথা খোঁপার চুলে
ওমনি এলোকেশী !
এমন সময় একী--
তুমিও কেমন দু'আঙুলে চিবুক তুলে বাড়িয়ে দিলে অধর
ধরা পড়বি তো পর বাবার চোখেই ?
লাল চোখ সেই দারোগাবাবু
পাঁচটি আঙুল রগড়ে দিতেই
হাত পাঁকড়ে ধাঁ নিমেষেই
কিন্তু আমার কপাল ভালো
বাইরে সেদিন তারার আলো
তারার ঘরের পলেস্তারায় চূণ খসে না
যদিও নোনা ...!
রং-বাহারী টেবিল কোণে উল্টানো গ্লাস
চারদিকেতে দুধসাদা ফ্রীল পর্দা ওড়ে
ঘর থেকে ঘর অনেক দূরে
আসছি বলেই হাত দু'খানি ছাড়িয়ে নিলে
চোখ চেয়ে সেই অবাক চাওয়া পর্দা পানে ।
প্রহর প্রহর ওষ্ঠ আসে অধর হাসে
বালিশ তখন ডুব শ্রাবণের পলাশ মাসে
ইচ্ছেফুলে লম্বা বেণী সাজিয়ে রাখি
লালঠোঁটে আর চুমকি টিপে কালবোশেখি
আঁচলের গান চন্দ্রবোড়া সাপের ফণা
শাপান্ত দি ত্রিফলা প্রেমের কী যন্ত্রণা !
লজ্জাকুঁড়ি ভেঙে যে প্রেম ফুল ফোটাল
সে প্রেম কিনা টোটেম হতেই বিধান দিলো
আজ দেখেছি মেলার মাঠে মাইক হাতে
হোককলরব জনস্রোতে
লম্বা মালায় গর্বিত মুখ, সিঁদুর টিকা
মাগো, আমার পাল্টে দিবি ললাট লেখা ?
জয়মা বলে কসাই হবো
এক কোপে তার ঘাড় খসাবো
তারপরে ওই ইচ্ছেফুলে রাঙিয়ে নেবো
জখম কথার রাগ-রাগিনী।
নাকের পাটায় দানাপানি জুগিয়ে যাবে প্রেমিক সর্বনাম
মাগো আমার নিপাত যাবার শখটির নাম
কড়িখেলা রাখলাম।