একখানি চিতা জ্বালিয়ে রেখেছে মন
ধিকিধিকি করে রোজ সে আগুন খায়
কখনো নিভু কখনো বা দাউদাউ
জানিস্ চিতাও শান্তির জল চায়!
কান পেতে শুনি আগুনের প্রিয় নাম
চোখমেলা চোখে ফুলকির রক্তিম
জিভ গলে গলে তিতকুটে লালারস
জানিস্ চিতাটা জ্বলে কেন দ্রিমদ্রিম ?
কি নাম, কি নাম, ভেবে হলি দিশাহারা
নাম জমা আছে শতাধিক প্রান্তরে
একই জলধারা যে রক্তদাগ মোছে
সেই জল চোখ চিবুকে উপচে ঝরে
কালোকালো ধোঁয়া আকাশের নীল খায়
কালোকালো ধোঁয়া সবুজ পাতার ক্ষত
কালো ধোঁয়া ঢেকে রোদ চশমায় মুখ
কালো কালো মুখ ঠিক মুখোশের মতো।
সমাজ কি জানে মুখ মুখোশের ভিড়ে
ওলোন কাঁটার কোন দোলোনের ঘর?
এই প্রশ্নটা বন্ধুকে করতেই
বন্ধুর জিভ ও ভোঁতা সেদিনের পর।
বন্ধু আমার মুক্তমনার দলে
পরিবার নিয়ে মুক্ত উঠোন ঘর
একাকী সে রাত রাতভর প্রসাধনে
কন্যা ফেরাল কর্ণফুলীর চর।
কেননা সে কিনা মুক্তমনা মেয়ে
কেননা সে জানে যুক্তির জমি চাষ
কেননা সে তার দামী বোরখাটি খুলে
বদলে পুষেছে প্রগতির ভাইরাস।
সেদিন থেকেই নীল ফুল ঝেড়ে ফেলা
একশো আটটা চিতার আগুন বরণ
মুঠি ভরে ছুঁড়ি সহস্র ভাইরাস
উসকে আগুন,চিতায় সহমরণ।