জানো, সেদিনের পর থেকে রোজই
যথারীতি দাঁড়িয়েছি গলি রাস্তায়
তুমি বলেছিলে, কাঁহাতক পারা যায়
চারখানি পেট চালিয়ে নেবার রুজিরুটি
শরীরও আজকাল বেহায়া হয়েছে বড়ো! খালি খুনসুটি!
এসময় অন্ধ গলিরও টানাটানা চারখানা চোখ
ত্রিফলা বাতির নীচে রোজ এসে দাঁড়ালে অশোক
চারখানা পেট, পেটপুরে খাবে বলে
কথামতো রোজই আসি চলে গলিরাস্তায়।
অশোক দরজা খুলে গাড়িতে বসায়
তারপর হীরকের ফ্ল্যাটে বারোহাতি শাড়ি
চব্বিশ হাতলের পাক খেতে খেতে
কোনোমতে ভোররাতে বাড়ি ফিরে আসি
এতোটা ভালোবাসাবাসি বিফলে কী যায়!
চারখানি পেট রোজ পেটপুরে খায়।
তারপর সেই দিনও আসতে পারে
অশোকও আসবেনা আর,
কথামতো চলে যাবে ফুলবাজারে
এতোসব ভাবনায় সাজগোজ বেড়ে যায় বদলের দিনে
গলিরও দেমাক দেখো, দুলে দুলে চলে,লোক চিনে চিনে
এইভাবে একদিন গলাগলি দেখে ফেলে পাড়াতুতো লোক
মাঝরাতে ঘাড় কাতে লাল শাড়ি ছুঁড়ে, নিজে বাঁচলো অশোক
চারখানি ভরপেট ঘুমিয়ে কাদা
যথারীতি দাঁড়াতে পারিনি আজ,
শুয়ে আছি অন্ধগলির মৃত রাধা।