এ জীবনে শুধু তেষ্টার জল খাই
মাথার ভেতরে অনুনাদী মরুঝড়
টপকে চলেছি লাল কার্নেশনের
কুয়াশা পেরেকে গাঢ়তম দ্বিপ্রহর
বিন্দুতে রেখা টেনে ভাবি এইবার
ওইখানে গড়া ঠিকঠাক সম্পাদ্য
আতস কাঁচের মোহে চেনা সূর্যকে
নির্দ্বিধায় তালুতে করি বরাদ্দ।
বলছিনাতো রূপোলী তামাটে সাদা
মৃত্যু-তাড়িত মাছ মাছ আঁশ আলো
ভালোবাসি বলে হাজার দূয়ারে উজার
'ট্রি রালা, লি রালা' উপুড় করে ঢালো।
গদিতে আখুটে উপরলোভী বিড়াল
দোহা গেয়ে চলে 'সুখের হাতটা বাড়াও
লতার প্রথম মুকুলের রঙ চিনে
দরজা কাটিয়ে পরিবর্তন ভাষাও'
চলেছি একাই ভিজে জিভ চেটেপুটে
পেণ্ডুলামের দোলনকালের কাঁটা'ই
ইমন শেষে মাড়োয়ায় তান বেঁধে
নিয়মমাফিক শেষ করছি তেহাই
ভিজেছি অঝোর দু'চোখ সেলাই করে
সেচের জলে তবুও ফাটল খরা
বুকে হৈচৈ খেয়া পারাবার বৃথা
বালির ধোঁয়ায় কুণ্ডলী নদীচরা
ঘরোয়াসুলভ ধুলোমাখা দিনগত
ভাঙা রাত হয়ে কায়ক্লেশে জমা
ঘুমের বালিশে ফুলফুল নীল প্রেম
অপচয়ে জমে বিগলিত রমরমা
চোখের কাজলে মেঘের আবহমান
চটুলতা চায় শিমূল আমন্ত্রণে
বেহায়ার মতো পলাশ পলাশ চুমু
গেঁজিয়েছে দোলদোল কাশে আশ্বিনে
লাল-হলুদ পরী ডুবে যায় নদীজলে
পারফিউমড্ পর্দানশিন দৃশ্যে
কেউতো ডাকেনি কুখারির ধার গলে
মোমরেণু ছোঁয়া ছোঁয়াচে ধর্ম বিশ্বে
আজকে লিখছি হাজার বছর বাঁচা
হাতের তালুতে নিমেষের গোগ্রাসে
কখন কিভাবে সপাং ফেলেছে পাতে
প্রিয় বিশেষণে চাবুক নিজেরই ত্রাসে।