ইকিরমিকির ফন্দী ফিকির চুণি তোকেই ছোঁয়ার
তখন বয়েস পাঁচ ছিলো আর বন্ধু তুই তো আমার
টিফিন পিরিয়ড সকলে যখন খেলছে গোল্লাছুট
আড়ালে ডেকে স্কার্টের কোনা টানতিস্ ঝুটমুট
সিক্সে উঠেই ছাড়াছাড়ি বয়েজ স্কুলে তুই
আট কোমর দুলিয়ে বেণী চারসখীতে দুই
ফ্রকের ফ্রিলে প্রজাপতি রংবেরঙ এর ডানা
বিকেল হলেই লাল সাইকেল পাড়ার মোড়ে হানা
দ্বাদশ শ্রেণি পার করে যেই কলেজের ক্যাম্পাস
ইকিরমিকির জিগির তোলে বয়সটা সারপ্লাস
মাস পেরোতেই কানে এলো বিদেশ যাত্রা পাকা
মিষ্টার সেন শ্বশুর হতে তোর রথেরই চাকা
কিন্তু, যদি,নেহাৎ,মোটা, শব্দ ছেঁটে ফেলে
মালতী সেন গোলরক্ষক তুই  ময়দানে 'পেলে'
'কিসের খবর রইলো' বলে পাড়াতুতো মস্তান
আঁচল ছিঁড়ে লুঠলো নদীর মাঠ পাথারের গান
পালিয়ে গেলাম গালিয়ে নিতে পেটের জমা ভুল
একমুঠো ফোন দূরের থেকেই সরালি গর্ভফুল
আনাড়ি আঙুল মুঠোয় পুরে লড়াই সেদিন থেকে
ইকিরমিকির সাময়িকীর বিষাদ সরিয়ে রেখে
দশদশটি আঙুল গাইলো তিরিশ বছর পরে
বিদেশ থেকে হার্ট সার্জন ফিরলি যখন ঘরে
প্রমাণসহ জেনেছিলাম যাবতীয় জোচ্চুরি
ইকিরমিকির সঠিক কী কী'র সাক্ষ্য জানিস্ চুণি?
দশ আঙুলে গরাদের গানে গাইছি তোরই খুনি।