জানতাম সোজা কথায় আমার ভাগে গালি
তবু বলি, স্বপ্নে তোমায় রোজ দেখি
এই কথাটি বন্ধুমহলে চাউর করতেই
শোনালে -- ওভাবে বলতে নেই জানোনাকি !
খরগোস নই ভালোই জানো, ঠোঁটকাটা অপবাদ
মনের শতেক উসকানি আর মানত সুতোর ঢিল
ফাঁসকলে নাটবল্টুটাতে ধূলোর স্তরে জমে
ইচ্ছে করে কবজা থেকে আছড়ে খুলি খিল।
এইতো তোমার হেঁয়ালী মালুম হলো!
কথার ধাঁধাঁয় কেবল চুমুক দর্পে জাদুকরী
আঙুল ডোবাও সাতমহলা সপ্তলোকে
স্মৃতি হাতরিয়ে পাবে কথা বীজ তোমারি ।
হেঁচকি থামাও,খুব এক চোট ফোয়ারা যে হাসির
ভেবেছিলে তুমিই কেবল মেঠো কবি
আলোয় রাঙা চিবুক নিয়ে দুঃখ দেবে
এখন কেমন পাল্টে দিলাম ভবি?
হলাম না হয় মাঝবয়সি সময় কাঁটায়
সজনে ডাঁটায় কামড় দিতে থামব কেন
ভুঁরু বাঁকাও, দন্ত শানাও আপত্তি নেই
বনলতার নামে ছুরি চালিওনা কক্ষোনো ।
আচ্ছা কবি আমি কেন বনলতাই
অন্য নাম আর লিখনোনা যে কলম তোমার?
এই যেমন ধরো, মেঘামালা বা ছোট্ট কুমু
খুব ছোটোতে এই নাম্নী কেউ দিয়েছে জখম?
তোমায় বাপু কষ্ট দিতে মন বাদসাধে
একটি কথা অভয় দিলে শুধোই এখন
ট্রামলাইনে লালকালিতে আমায় এঁকেছিলে?
দু'হাত জোড়া ডাবের গোছায় ফিরেছ যখন!