১)
তোমায় খোঁজা কোনোমতেই শেষ হবেনা জানি
দু'চোখের নোনতা জলে
সাম্পানে নাও বাইলে
কাকরঙ রোদচশমায়
কড়িকাঠ গল্প শোনায়
কালকের বিগত দশক,আজকের কানাকানি।
২)
দিনের খেলায় কোথায় যেন পাখির ঠোঁটে গল্প  রাখা
বর্ষা এলো পথের বাঁকে
হাত বাড়িয়ে আমায় ডাকে
মাটির ছবি আকাশ জুড়ে
দিকশূন্য অচিনপুরে
মেঘের মতো আশকারা চাই আঁকড়ে ধরে আলগা থাকা।
৩)
সত্যি বলতো তুমি আমার কতোখানি কাছের?
ভালোবাসা মন খুঁড়ে খায়
সন্দেহদোষ দাপিয়ে বেড়ায়
ধানাইপানাই ফন্দী আসে
পালাই পালাই আষাঢ় মাসে
মধ্যবিত্ত আদরগুলি দেয় ঝাঁকুনি ব্যালেরিনা নাচের।
৪)
রাত্রি ঘুমায়, তার দু'চোখে কাজল লেগে থাকে
ঘুম আায়রে ঘুমপাড়ানি
আঁকব ছবিতে ও মুখখানি
রং তুলিতে কান্না গুলে
হঠাৎ দেখি দরজা খুলে
স্মৃতির তিথিরা সরে যেতে চায় বিস্মৃতিটার বাঁকে।
৫)
লক্ষ্যচ্যুত আঙুল ছোঁয়ায় বক্ষচ্যুত আঁচল
খুলে দেয় অলীক দেরাজ
ইঁদারায় পিয়াসী কোলাজ
হংসিনী মেঘের পালক
জ্বেলেছে সোনালি আলোক
যক্ষ আমি আর হবেনা পক্ষকালের ছল।
৬)
বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে দিলো দুখ
ঝড় উঠেছে আরো
মুক্ত হতেই পারো
পর্দা দেওয়া থাক
সরিয়ে নেওয়া হাত
গামছা মোড়া ভালোবাসার সুখ।
৭)
ভোরের স্বপ্ন সত্যি জেনে বালিশে মুখ গুঁজি
হিসেব ভুলে পালিয়ে বেড়াই
ভাঙা ঘরের দরমা সারাই
ঋণের বোঝা অলীক শুধি
কপালপোড়া জন্মাবধি
এক আগুনে বুক পুড়িয়ে ছাই হয়ে জল খুঁজি।
৮)
এমনি চল্ কাজ থেকে আজ নিই ছুটি
যদিও পকেট গড়ের মাঠ
ফুচকা এবং পাপড়ি চাট
বাড়িয়ে দেবো তোর দিকে
পদ্য লেখা চিরকুটে
প্রেমপীরিতে লগ্নী করি রোজনামচার ভ্রুকুটি।
৯)সুখের ভ্রমর বুক আর কোমর
সাক্ষ্য প্রমাণ লুঠে
ছক্কাতে বা পুটে
যন্ত্রণাদের ভিড়ে
দোহাই দেয়াল জুড়ে
চোখ বুজেছে পোষাকি আঁতুরঘর।
১০)
পুরোনো চিঠির ভাঁজে ভালোবাসা ভীষণ সহজ
ফেরানো যায়না জানি
কথাদের কানাকানি
ভেতরে বাইরে আসে
হা হা হা অট্টহাসে
এক বৃষ্টি থেমে যেতে মেঘ লেখে অন্যকাগজ।
১১)
জানো, সেই থেকে সারাদিন বাড়িতেই থাকি
বেলা পড়ে আসে যতো
গুলঞ্চলতার মতো
রাত জেগে দিন কিনি
জমে থাকা সব ঋণই
স্মৃতি বিস্মৃতি ঘিরে আকাশেতে পূর্ণিমা চাঁদ আকি।
১২)
মাছ,ডিম কিছু নেই, আজকাল নিরামিষ প্রায়ই
তুমি আর আমি, আমরা দুজন
সুগারকোটিং সারিয়েছে মন
কিছু আবছা আলোছায়া চেনা
মাঝে রেখেছিলো বিষধর ফেনা
শরীরে বেঁধেছি সন্ত্রাসবোমা বিশুদ্ধতাবাদী।