আজ তোমাকে লিখতে বসে নীলখামেতে প্রথম
প্রিয়তম শব্দ লিখেও কাটলো হলুদ কলম
শুরু করি কোথা থেকে? কি আদেশ রাখি?
কতোদিন এপাড়াতে দিয়েছো যে ফাঁকি!
সেই হিসেব আর কিচ্ছুটি আজ নাই
মাত্র একটি নদী পেরোলেই বাড়িটাই
যাওয়া-আসা ঘণ্টা চারেক রাঙা মেঠোপথ
এতেই তোমার এতটা হোঁচট ছিলো মন্মথ?
অথচ দেখো এমন দিনে বছর পাঁচেক আগে
বৃষ্টি নামে টাপুরটুপুর ভিজিয়েছিলে যাকে
তাকে ছেড়ে কাটতোইনা একটি প্রহরও
সকাল বিকেল মেঘ আনতে বইয়ে হাওয়া ঝোড়ো
রোজ আসতে লাল সাইকেল কলেজ ক্যাণ্টিনে
আমিও কিনা সেদিন এমন একটা অলুক্ষুনে!
সুজয় স্যারের অঙ্ক ক্লাস বেমালুম ফাঁকি
তোমার সঙ্গলাভের আশায় লনের ধারে থাকি
উদোম কালবোশেখি পরের তিরিশ মিনিট
শপিং মলের ঠাণ্ডা থেকে হাসপাতালের সিট
প্রত্যেকদিন ঝিরিঝিরি, ঝমঝমিয়ে ঝরা
সেদিন যদি জানতাম এতোটা কপাল পোড়া!
কানাঘুষোয় তোমার বাবার লটারি জেতার খবর
শুনেই সেদিন তোমার বাহুতে সঁপেছি নিজের কবর
তুমিও তো বলেছিলে চুম্বনের পর
আমাদের দুজনার হবে বাসাঘর
গুজব ছড়ায় নাকি হাওয়ারও বেশী
সেদিনের পর সব মেলামেশা-ই
এককথায় চুকিয়ে দিলে, অন্যখানে বিয়ে
আমি তখন অন্তঃসত্ত্বা কুমারী মেয়ে!
ভোররাতে অন্যমনা পুকুরে দিই ঝাঁপ
দুটিহাতে জাপটে বুকে সাধন নিলো পাপ
একমাত্র সেই জানে ছেলের বাবার নাম
না পারতে আজ তোমায় চিঠিটা দিলাম
পারো যদি একবার সময় করে এসো
চোখের দেখা দেখে যেও ঋণ হোক শেষও
অনেকদূরে যাচ্ছি চলে আর হবেনা দেখা
- ইতি,মনের মাঝের বসতবাটির বৃষ্টিলেখা।