তোমাকে লিখিনি কখনো
বুড়ো ঘড়ি যেভাবে হ্যাংলা চেয়ে থাকে কাঁটার জিভ মেলে
সেটা ঠিক ঘুম নয়, ঘুমের মতো...
আমার ভাবনার গাছেদের কথা, লতানো গাছের মতো হিলহিলে।
সেখানে আমলোক, জামলোক, অশ্বত্থলোক সব ছিলো
কবেকার হলদে ঘাসজমি, নীলরঙা আইরিশ পাখি,
সাদাকালো পাথরের ঠাণ্ডাঘরে ভাঙাকাঁচ আর ফ্রেমের আড়াল
শুঁটির মোড়কে থাকা কলাই এর পুরুষ্টু শীতকাল।
বোতাম রহস্যকথা,মশলা মুড়ির আঁটোসাটো সক্ষমতা
উলুঘাসে এলোচুলে কমলার বৈশাখী মোহ,
চার-পকেটের বায়নার কথামতো নিছক বিদ্রোহ ।
সিফনের ডুরে শাড়ীটার আঁচলের গানে
কাঙাল চন্দ্রবোড়ার ঘুমঘুম চোখ
তাদের বয়স থেমে আমার মতোই একরোখ
লম্বাচুলের ফুলমালা আশাবাদী নয়
পোর্সিলিনের সাজপোষাক পরা পুরোনো পরীরা হাত দিয়ে ছেনে ছেনে
কায়দামতো দেহভূক প্রসবিনী কড়ায় উনুনে
ছায়ায় ছায়া মাড়িয়ে মাড়িয়ে দুটি পায়ে খেলা করে আজন্ম ঋণী
আলিঙ্গন বাকি রেখে ঘড়ির কাঁটারা টিকটিক্ মেখে যায়
মাছেদের ডিমের আভাস আজও বড়ো বিরহিণী ।
চেরাই আর্ত হলে তুমুল আখের মাঠে -
ভাঁজ করা নখ ও কাটাকুটি খেলে তুখোড় পেন্সিলকাঠে
আস্ত হাড়ের চুনকাম খসাবার আগে মনে পড়ে
আমারো একটা কালো তিল ছিল বাম বুকের বোঁটায় ।
মাছ মেয়েটির মতো সাতটা তারার টিপে সেজেছে কপাল।
তোমাকে লিখিনি কখনো---
ধিকিধিকি তুষ পোড়ানো কিছুটা শীতকাল।