চারিদিক মায়াময় এক ক্ষীণ আলোয় সারা,
তবুও বন আজ এক অপূর্ব অজানা কৌতুহলে ভরা।
সারা বন ঘিরে ছড়িয়ে আছে গভীর এক নিস্তব্ধতা,
আজকে আমার কবিমনে জাগায় শুধু মত্ততা।
হারিয়ে যাই আমি অজানা কোনো এক দেশে,
পুরোনো সেই গল্পগুলো চোখের কোনে ভাসে;
মা রাত্তিরে বলতেন জানো গল্পগুলো সব সত্যি,
নির্জন ওই বনে থাকে হাড় হিম করা চেহারার -ব্রহ্মদত্যি।
রাত্তিরে যে ওই বনের পাশে শ্মশানে যায়,
তার ঘাড় টিপে রক্ত চুষে খায়;
তার পর আরো খাবার চায়।
সারা রাতে যদি আর খাদ্য না মেলে,
অশ্বস্তিতে তাকিয়ে থাকে খাদ্যের আশায় চোখ -মেলে।
আজকের দিনে এই গল্পগুলো হয়ে গেছে মিন,
ঘুমহীন রাত্রি গুলো হয়ে গেছে স্মৃতির চিন্।
কে জানে কোথায় বনের মাঝে মোর রাস্তা হারিয়ে -গেছে,
মনে ভয় হয় এই রাত্রি শেষ হয় পাছে।
পাশের মনুষ্যহীন শ্বেত শুভ্র শ্বশান,
জ্যোৎস্নালোকে যেন পেয়েছে ফিরে প্রাণ।
শহরপাশে ছড়িয়ে থাকা কানফাটানো শব্দগুলো,
আর ছড়িয়ে থাকা বিষাক্ত ধোঁয়া-ধুলো;
আজ রাত্তিরে সব হয়ে গেছে ম্লান,
বিচিত্র শোভা নাচছে যেন মন করছে আন-চান।
শহরের রাস্তা খালি শুধু বাতিগুলো জ্বলছে,
নিস্তব্ধ তারারা চেয়ে আছে আর বাতাস বয়ে চলছে।
চারিদিকের পরিবেশ যেন কানে কানে,
বলছে চুপিচুপি;
শুধু তোর জন্য এই রাত্রি সৌন্দর্য,
শুধু তোরই জন্য এই রাত্রি সৌন্দর্য।
কবিমন চিন্তার জগতে ভাসতে জানে,
তাই এই রাত্রির মর্মটা সে মানে।
চাঁদ যেন তার যাদুপ্রদীপের জ্যোতি উদ্ভাসিত করে,
রুপোলি মায়াচ্ছন্ন এই জগৎকে দেখছে প্রাণ ভরে।