গীষ্ম শেষ হলে পরে,বর্ষার শেষে,
ঋতুচক্রে শরৎ যখনআবার ফিরে আসে;
সঙ্গে আনে তার প্রভাত শিশির-কণা-গুলো,
কোনোটা থাকে ঘাসের আগায়,কোনোটা ভেজা-
য় ধুলো।
ভোরের শুভ্র আলোয়,মনে হয় ছড়িয়ে আছে হীরে;
নবারূণ আভা পড়লে পরে,কাঞ্চন কণা হয় ধীরে-ধীরে।
ছড়ায় তার ক্ষীণ জ্যোতির্ময় আলোক দীপ্তি,
দর্শনে হয় অপরূপ আনন্দ,প্রাণ ফিরে পায় তৃপ্তি।
ঘাসেরা যেন এই স্বর্ণকণা পরে,সুন্দর -সুন্দর রূপ-ধরে;
মনে করে তারা যেন বিশ্ব -সৌন্দর্যতা কে সূচিত- করে।
এই বিশাল তৃপ্তি পূর্ণ চিরবিরাজমান এই সৌন্দর্য,
এ যেন প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া নিজের ঐশ্বর্য।
অবুঝের কাছে এই সৌন্দর্য মুল্যহীন,
যার কাছে চুনি-পান্নার সৌন্দর্যওক্ষীণ।
পৃথিবীতে সৌন্দর্যলোভী ভ্রমণকারী যারা,
হন্যি হয়ে দেশে দেশে ঘুরে হয় দিশেহারা।
হাতের কাছে বিকশিত সৌন্দর্যতা ছেড়ে দিয়ে,
ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশের লক্ষ্য নিয়ে।
তারা অন্ধের মতো থাকে অন্ধকারে সুপ্ত;
বিশাল সৌন্দর্য তাই তাদের কাছে রয় চির গুপ্ত।