মুঠোফোনে বিরস মুখে অঞ্জন একটা কবিতা পড়ল,
ও প্রান্তে উদ্দীপ্ত আধুনিকার জোছনার নম্রতা।
কবিতা শেষ, এক পাহাড় নিরবতা
নীরবতায় আঘাত হেনেই অঞ্জন বলল কেমন বললে না?
ভালো...যেন একটা জম্পেশ তৃপ্তির সুরভী কণ্ঠ।
ভালো...মানে...কতটা ...! এক সমুদ্র সংশয়।


পাতলা হাসির আবেশে আধুনিকা বলল,ভালোটা ভালই ...যার পরে আর কোন আঁধার থাকে না।


বিরস ছেলেটির প্রাণে তরতর করে বয়ে চলল নির্মল স্রোত,
গভীর আনন্দে জানতে চাইল-
তুমি পারবে মরা গাঙে ঢেউ তুলতে?


মেয়েটি বিস্মিত হয়ে বলল,মরা গাঙে ঢেউ...! তিনশ ষাট ডিগ্রী বেঁকে এক চিলতে হেসেই বলল আগে তো গাঙটা ভরাট করতে হবে...।


অঞ্জন অতি সন্তর্পনে বলল,এর জন্য বিশুদ্ধ মনই যথেষ্ট।


শুধু বিশুদ্ধ মনেই হয় বুঝি, বিশুদ্ধ মরা গাঙের নিদারুণ বাসনা না থাকলে কোন কিছুই সম্ভব নয়।


অঞ্জন বলল,আমার অন্দরে  নিদারুণ বাসনার উন্মাদ তুষার, এক ফালি উষ্ণতা হলেই নব প্লাবনের নিবিড় অঙ্গীকার।


আধুনিকা স্নিগ্ধ আবেশে জানাল,আমার উষ্ণতা নেই,আছে শুধু প্রীতির প্রদীপ্ত প্রদীপ।এটিতে কি...।


অঞ্জন অনন্ত অনুভূতির কেদারায়  দেখতে পেল উদিত সূর্যের সোনালী কার্নিভাল।