অপমৃত্যুর দীর্ঘশ্বাস
আল আমিন চৌধুরী স্বপন


প্রতিদিন শুধু চিৎকার শুনতে পাই ধর্ষণ আর অপমৃত্যুর,
শিফাত শরিফের চিৎকার শুনি, বাঁচাও আমাকে বাঁচাও
দাঁ দিয়ে কোপায়ে মেরে ফেললো আমারে! কিছুক্ষণ পরই
কঠিন মৃত্যুর কাছাকাছি এসে স্তব্ধ হয়ে গেল বেঁচে থাকার কান্না,  
কে কার চিৎকার শুনে !


মানুষ নামে অশুরগুলি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো,
যমের হাতে নয়, এখন মানুষের হাতেই মানুষ ক্ষুণ হয়।  
এক অবলা নারীর প্রানপণ চেষ্টাটুকু ব্যর্থ হয়ে গেলো,
নিজ-স্বামীকে পারলো বাঁচাতে,
অসহায় বরগুনার মাটি রক্তাক্ত্ব হলো মানবতার রক্ত ঝরে।


মনে পড়ে যায় বিশ্বজিতের রক্তমাখা শরিরের কথা
ধারাল রামদা আর চাপাতির কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল
সেদিন মানবতা। কেমন নৃঃসংশ ভাবে ক্ষুণ হলো একজন দর্জি।  
ছায়ার মত দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে চলছে চরম নির্মমতার সেই প্রতিচ্ছবি।
আজও নবাবপুর গেলে চমকে উঠে বুকের পিলা।


আরেক নরপশু হানা দিলো ওয়ারীতে-  
সায়মার নিঃশব্দ আত্মচিৎকারে কেঁপে উঠলো ওয়ারীর মাটি
একটি নিঃপাপ শরির কামড়ে খত-বিক্ষত করে, জংলী স্টাইলে
ধর্ষন করে রক্তাক্ত্ব করে দিলো।
ঘৃনাবোধ, মুখে মুখে তিরষ্কার, বিচার-আচার হলেও অবুঝ সায়মা-
আর ফিরে আসবে না কখনো!


ছেলে ধরার নামে নির্দোষ এক নারীর অপমৃত্যু হলো, লাঠির বারিতে
কেঁপে উঠলো বাড্ডার মাটি, জীবন্ত মানুষ হয়ে গেল সজ্ঞাহীন নিঃতেজ।



মানুষের ভিতরে যে পশুবৃত্তি তা আজ অহরহ সমাজ রাষ্ট্রকে কুলশিত
করে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। জীবনের নিরাপত্ত্বা কোথায় ? মাসুমিয়াতকে
রক্তাক্ত্ব করে পশুত্বের অনুশীলন চলছে, কিছু বিপদগামী মানুষের নির্মম
আচরণে মানবতাবোধ অতিষ্ঠ্য হয়ে পরেছে। তারপরও এ জীবন থেমে
থাকবে না।