খলনায়কের ভালবাস
আল আমিন চৌধুরী স্বপন


আমি প্রস্থান উদ্দোত, তুমি থাকো সাঁজানো মঞ্চে নিজের মত করে।
যত পারো অভিনয় করে এই সংসার, এই সমাজকে আত্মভোলা করে রাখো।
তোমার স্বল্পদৈর্ঘ নাটকের ছল করা অভিনয়ের, সারমর্ম আমি বুঝতে পেরেছি।
আমি তো খলনায়ক, তাই আমি তোমার হীরো হতে পারিনি!
তুমি যে পূর্ণদৈর্ঘ সিনেমার নায়িকা হয়েছো, তা আমারই সুদক্ষ ভিলেন অভিনয়ের জন্য।


তুমি এখন একাধিক সন্তানের জননী, আর আমি ছন্নছাড়া এক নির্বোধ, সেই যে
ভালবাসার-
দীক্ষা নিয়ে পথ চলছি, এখনও সেই বিনি সূতার মাল্য দানে, বর সেঁজে সাঁজঘরে বসে আছি।


মনে রেখো, একাল আর সেকাল, কোন কালেই আমি ছাড়বো না তোমাকে।
কবিতা হচ্ছে দ্রুপদী নারী। তুমিও ঠিক তাই। তোমাকে ছেড়ে দিলে তো, আমার ভাবনা
তপস্যা অনাদরে মিথ্যে হয়ে যাবে।


কবিতা হচ্ছে আমার বুকের মানিক, যা দীর্ঘকাল পরে নিঃশব্দে আওয়াজ দিয়েছে।
তুমি ভয় পেও না, দীধাগ্রস্থ হইও না, প্রত্যাশা নিয়ে প্রানবন্ত অভিনয় করে যাও,
আমি তোমার পাশেই আছি।


তোমার অস্তিত্ব জুরে আমি থাকলেও, না দেখার মত আলাদা এক মনস্তাত্বিক দৃষ্টি ভংগী।
তুমি সেঁজে-সুজে মঞ্চাভিনয় করতে থাক, আমি খলনায়ক হয়ে এসে তোমাকে হরণ করি।
আমার ভালবাসা তোমাকে বিনয়ি করে ফিরিয়ে আনবে, কখনো কখনো মহাযোগ হলে,
স্বইচ্ছায় তুমি ফিরে আসবে।


তুমি যখন আসবে, তখন আর আমি এ জীবনে থাকবো না।