বকুল যখন যুদ্ধে গেলো
বিধবা মায়ের শেষ ভরসা তাও হারালো।
বকুল যুদ্ধে যাবি যা,
যুদ্ধেই জীবন রাঙা।
মা,
যুদ্ধে চলে গেলে
দেখবে তোমায় কে?
এই নে হাতিয়ার !
পিছু ফিরে
থাকাবিনা আর!
সেয়ান ছেলে
যুদ্ধে গেলো
আর এলো না ফিরে,
ভিটে মাটি
ছাই হয়েছে
বেবাক জন তীরে।
সবাই এলো
এলো নাতো বকুল,
জনম দুঃখী বসে আছে
পেতে মায়ার কূল।
দেখতে দেখতে আজো দেখে
কোথায় বকুল আমার?
কিসের যুদ্ধ
করলিরে বাপ
এত্ত হাহাকার।
ভাত জুটেতো
তেল জুটেনা ,
নুন জুটেতো
গুন জুটেনা,
বৃথায় দিলাম
যুদ্ধে তোরে
বৃথা ষোল আনা।
স্বাধীনতার পত্র নিয়ে
আজো মা যে কাঁদে ,
পরাধীনের ঢোল তবলা
বাজে ব্যাকুল সাধে।
মায়ের চুলে
জট লেগেছে
ধুলোয় মাখা মুখ,
পুত্র হারা
সুখ ছেঁড়াতে
নাইকো জ্যোতির চোখ।
এখনো ক্যান
লাশের খেলা
হায়েনাদের দাপট?
ও বকুল তুই
যা বলে যা
খুলে কবর কপট।
কেমন ছেলে
ছিলে পেটে ?
দুধ কেন তুই খেলে ?
কিয়ের যুদ্ধ
করলিরে বাপ?
ভাসি চোখের জলে।
শীতের জ্বালায়
পাথর সাজি ,
হায়রে বীরের মা !
দে ফিরিয়ে
দুধের দাবি
কিচ্ছু চাই না।।