উৎসর্গ- আহত নিহত সকল শ্রমিকদের


মেহনতি জনতারভাগ্য পরিবর্তন হবে না কোনদিন
হতে দেবে না তুমি তোমরা
অযথা হৈ হুল্লোড়
এই সেই রং তামসা।
মজুর বসে নেই তোমাদের কোঁজাগিরীতে
যার যার কাজে সবাই ব্যস্ত
তাই আমি বলি লাল নীল রুপ রপ রস লাগিয়ে
রাজপথে মেহনতী মানুষের কথা বলা
আর নিজের রাজত্বে নিজেকে
পাকাপোক্ত করা আরেক ভন্ডামি।


তমালিকা তুমি আজ শ্রমজিবীদের কথাবলো ইনিয়ে বিনিয়ে
কবিতা আবৃত্তিকরো কুলি মুজুর নিয়ে
আর চোখগুলো পরখ কর কে কে তোমাকে বলছে বনফুল।


এইতো অবস্থার স্বস্থার সাত বস্তায়
নৃত্যের চিত্তভোগ।


মনে পড়ে তমালিকা একা একা যখন ভাবতাম
বিপ্লবের কথা সংগ্রামের কথা
একটা নব সূর্যের কথা
তুমি হে ঠিক সেই তুমি পাশেএসে বসতে
আলতো আদরে চুল গুলো ছুঁয়ে দিতেদিতে বলতে
লিখো লিখতে থাকো
ঐ খেটে খাওয়া জনতার কষ্টের কথা
ঘামের কথা
লিখে যাও অসহায়ের কথা
তোমার লেখনিতে ফুটে উঠুক সংগ্রামী সূর্য।


আমি তো তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম তমালিকা
যেমন করে প্রজাপতি ভালোবাসে স্বাধীন আকাশে ওড়া
আর মাঝে মাঝে গাছের ডালে বসা
তেমন করে আমিও মাথা রেখেছিলাম তোমার কোলে
চোখ থেকে জল বেয়ে যখন পড়তো
তুমি মুছে ‍দিতে
আর বলে যেতে কান্না তোমার শোভা পায়না
তোমার কান্না মিশিয়ে দাও লেখনীতে।


যখন বুকের কোনে একটু সুখে
আগলে তোমায় রাখি
যখন ইচ্ছেগুলো মাটি করে
খাঁটি চোখে তোমায় প্রিয় দেখি ।
তখন তুমিও বলতে লাগলে
কি দরকার তনুরে কথা লিখে
রাজন জিহাদের কথালিখে
স্বৈরাচারের কথা লিখে
অন্যায় অনাচারের কথা লিখে
যদি
তুমি এসব লিখো আমাকে পাবেনা
সত্যি বলে দিচ্ছি আমাকে পাবেনা ।।


অতপর !একটার পর একটা অধ্যায় টেনে আনলে
তুমি জানো না তমালিকা
এ বুকে যদি হাজারকোটি বেদনার পাহাড় জন্ম হয়
হোক
আমি শুধু তোমার না তমালিকা আমি হে
আমি ষোল কোটি জনতার ।


তারপর তুমি চলে গেলে
কবিতার আড়ালে আবডালে তোমাকে খুঁজেছি
কত রাত চোখ ভিজিয়েছি
জল পাহাড়ে
অতপর একদিন বললে আমি তোমার সাতেও না পাঁচে ও না ।


আমার চোখে ভাসে লাল কৃষ্ণচূড়া
পাতা বাহারের জেগে ওঠা এক একটা পাতা
রাজ পথে পড়ে থাকা কংকালসাড় হাহাকার
নজরুলের বজ্র বেগে রেখে আসা নার্গিসের ইতিহাস
তাহলে তমালিকা তুমি ও সেই নার্গিস আমার !


বিয়োগান্ত অমবস্যায় প্রজাপতির মতো গড়ে নিলে তোমিতো সীমান্ত
লোভের ত্রি মোহনায় পড়ে থাকে অনন্ত স্মৃতির নিষ্ফলা রোদন
ঘন মেঘের আবয়বে বার বার জীবনানন্দ আয়নায় দেখে তার মুখ
ব্যাংক ব্যালেন্স ।


লাবন্যের অত্যাচারে
মঞ্জুর ভালোবাসা হিমেল বরফে শীতল হয় কবি;
কথা ও কবিতায়
গর্জে ওঠে সত্যের পরহাড়
শব্দে শব্দে আমি ভুলে যাই তোমার
অবহেলার দীর্ঘ রাত
ছিঁড়ে ফেলি সঙ্গমের নির্ভুল অশ্রু
বেমালুম ভুলে যাই ভুলে যাওয়ার ফরজতায়।


তমালিকা দেখেছো কখনো অসহায় জনতার হাত পিঠ
বিবস্র সন্ধ্যা
দেখেছো ওদের মুখের হাসির আওয়াজ
ঐ ঘরে জন্ম নেয়া প্রতিটা শিশুর আব্দার
যা অপুরন থেকে যায়
তোমার আমার বিলাসী কাবুতে
যা বিস্ফোরন ঘটায় খোদার আরসে পাঁচ ওয়াক্ত।


নামাজ পড়ো কিসের নামাজ পড়ো
সুন্দর রুপের জন্য নামাজ পড়ো এই তোমার ইবাদত
আজ কত জনেই মুসলিম
নামাজে কপালে দাগ পড়ে যায়
হজ্ব করতে অপরের জমি ভোগ করে
অবশেষে হাজী টাইটেল লাগিয়ে
আবার চড়াও হয় রাজনীতির মঞ্চে।


তুমিও তাদের দলে তমালিকা
যারা মন ভাঙ্গে
তারা কারা
আর যাই হোক ওরা
মানুষ না
ওরা দাজ্বাল শয়তান
ওরা ওরাই জানোয়ার।


তাই বলছি টগবগ লাল চোখে বলছি
আঙ্গুল উচুকরে বলছি
কোন হারাম জাদা যেন
মজদুরের অধিকারের কথা না বলে
না লিখে মশকরা করে বেদনার নীল খাম।


আমাদের ভাগ্য
আমরাই বদল করে নেবো
এক এক করে কাঁদতে কাঁদতে
হাসতে হাসতে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘামে
আমরা কারো দানে ধনী হতে চাইনা
আমরা আমাদের ঘামে বার বার চিৎকার করে বলি
দুনিয়ার মজদুর এক হও !।