..................
আমার কোন স্বপ্ন নেই বাসন্তী
ঝরা পাতার কাব্য হয়ে যখন ভাসতে
তখন আমি সব হারিয়ে এক নেশাখোর মাতাল
একর পর এক দেখি স্বপ্ন আশা নিরাশার তৈলচিত্র।
আজ রাতে যখন শূন্য মনে হলো
তখন এক এক করে মনে হলো
রান্নাঘর থেকে এ বাড়ি
মেঠো পথ কাচা আইলের পরতে পরতে
কিছু স্বপ্নের কথা ।
যতোদুর মনে হলো
ভোরের পাখিদের কলরবে  ভেঙ্গে গেলো।
এভাবেই চলে যায় সুযোগ সন্ধানী মানুষের দল
যখন সুখের চার দেয়ালে
সীমান্ত সৈকতে হাবুডুবু খায়
উঠন্ত মন।
আমি এখন আর রাগ করিনা
মশকরা করে বলিনা আমার আকাশটা নীল।
যার আকাশ নেই তার আবার কিসের নীল ।
শিলাবৃষ্টি যেভাবে পাকা ধানে আঘাত করে
আমি আমাকে আঘাত করি ঠিক সেভাবে
প্রশ্নবিদ্ধ করি।
বার বার বলি কবিতার কলম হাতে যখন নিয়েছিলাম
তখনি শপথ করেছিলাম
আমার বুকে পা রেখে কেউ যদি সুখের বাতি জ্বালায়
হাসতে হাসতে বাড়ি চলে যাবো।
অতপর তাই হলো
আর কি
সুখের হাসিটা হাসতে হাসতে
গতবারের মতো এবার সুইচটা অন করে পড়তে বসি
সুরা আর রহমান
যেখানে আল্লাহ বার বার বলেছে
আমার কোন কোন সৃষ্টিটাকে অস্বীকার করতে পারবে?
সত্যিই তিনি মহান
গাই তার গুনগান।
দিন শেষে রাত আসে
রাত শেষে দিন
হঠাৱ করে নিয়মের ধারায় বদলে যায়
আর বাসন্তী
হয়তো লোভ কামনা বাসনার ধারায়
আজ গজিয়েছে পঞ্চমুখ।
হয়তো হবে কেন তাই সত্যি।
অহমিকার পাহাড়ে ক জন পা রাখতে পারে বলো বাসন্তী
সবছেয়ে খুশির সংবাদ হলো
তোমাদের সৃষ্টি না হলে
আমি আসলেই সুখের উপসংহার খুজে পেতাম না
পেতাম না বিষাদ সিন্ধুর কাব্যলতা।
জেগে থাকা হতোনা রাতের পর রাত
তোমাদের কান্নার শব্দে আমরা ভুলে যাই
আমাদের সুখ দুখ আহলাদ
তোমাদের অসুখে আমরা ছটফট করি
পারি কিভাবে মুক্ত করা যায়
নিজের জীবন বিনিময়ে।
বলেছিলো কবেকার বন্ধু এক
যা মর গিয়ে
আমি এখানে নেই
আমি  স্বর বুঝি
তখনো বুঝিনি বন্ধুর কথা
না বুঝে ভালোই হয়েছে
অন্তত তোমার সুখের হাসির সংবাদে
পৃথিবী মুখর ।
ইনয়ে বিনিয়ে বলতে পারো সবুজের গান
পথ চিনে রাখতে পারো বুকেতে মুখ
সারাটা দুনয়া খুজে দেখি
তোমাদের চোখের জল নোনা থাকে না
সে জল
ছলনার কলাকেৌশল।
হয়তো আজ থেকে আর শোনা হবে না
কোন ক্রন্দন
পৃথিবীর ডান বাম সব স্তব্ধ করে গেলে
হয়তো তোমার জন্যই
কত কন্ঠ থেমে যাবে
শূন্য তার আবয়বে
শুনে না শোনার ভান করে চালাবো পা।
আমাদের কোন স্বপ্ন নেই, বাসন্তি
স্বপ্ন খোলাকাশে ভাঙ্গা নীড়ে বাস করে না
করতে পারে না!
স্বপ্নের জন্য মিথ্যার পাহাড় থাকতে হয়
হাক ডাক অভিনয়ের
নাটক থাকতে হয়
তারপর থাকতে হয় দেয়া নেয়ার স্বর্ণলতিকা।
মনে পড়ে বাসন্তী
অস্তির প্রসব বেদনার ন্যায় কাতর হয়ে
যখন চিতকার করতে বেদনার জ্বালায়
তখন রাত বিরাতে ঘুম ভেঙ্গে
কত না ভেষজি কথার আলাপনে ঘুম পাড়াতাম।
মনে পড়ে না
এখন আর এই মনে পড়া কবেকার কি এক ভেৌতিক কথা।
সময় গেলে কত কি পুরাতন হয়
তাতে আর কি
বিত্তের বাতায়নে ভুলে যেতে হয়
আমরা ভুলিনা
মাটি ছায়া পথ পাথর ঘাম সবুজ ঘাস
মানুষ কে মানুষ বলে দেদারছে চালিয়ে যাই
জীবনের গান।
সময়ের পাল্লায় ।
তোমরা কি মানুষের অভিনয় করো
আর সুযোগে হিংস্রাষি জানোয়ারের বেশে
টপকে খেতে পারো আপনের হাড় মাংস।
তাইতো হচ্ছে চারদিকে ।
এই যে এক নদী আর দুই পর্বতের বাহানায় অহমিকার গল্পের
ছানা ঝট
তাতে আগুনের ফাল্গুনী রং
সাবধান থেকো খেয়াল রেখো
এ আগুন শ্যাম্পু করা চুলে যতোনে যতোনে
পুড়ে ছারখার করে দেবে
তারপর কবিতা আর কবিতা রবেনা হলে হতে পারে
নীল ছবির আরেক কসরত।
সুখের বটিকায় শিউলি ফুলের মালা গলে
ভালোই দেখালে নৃত্য
তাতে আমি অতীষ্ট নই যার যা করার তাই করেছে
বরং সন্তুষ্ট।
বাসন্তী,
আমাদের স্বপ্নরা মেঘে মেঘে ভেসে বেড়ায়
কখনো আসে না তোমাদের পৃথিবীতে পুড়তে
ছাই হতে
আমরা গড়ে দেই তোমার স্বপ্ন
বেদনার নীল খামে
তীলক পড়ায়ে বলি  পাখি খোল আখি
এই সিথির সিদিুরে
পথ আছে পথের শেষ আছে ।