তুমি কেমন নদী
বার বার তোমার বুকে চর ভাসে
নিরবধি ছাড়ো দীর্গশ্বাস!
তুমি কেমন প্রেমিকা
এক্কা দোক্কা খেলায় যেমন
অংক কষায়
পারদর্শী তেমন।
তুমি কেমন পিতা
সন্তানের হাতে অবসান ঘটে
অস্থিত্বের চরম বাস্তবতা।
তুমি কেমন চিতা
যে তোমাকে বপন করে
তাকেই দহন করো
অনায়াসে হেসে হেসে।
তুমি কেমন মাটি
খাঁটি করে তুলো যে বীজ
আবার গলে পঁচে এক করে
মিশিয়ে দাও সবুজ ঘাসে।
ও আকাশ আমাকে একটা
দেয়াশলাই দাও
আমি একটি সিগেরেট খাবো
সারাটা জমিন ঘুরে কোথাও
দেয়াশলাই নেই
শুধু আগুনে ফাগুন
আর ফাগুনে আগুন।


তুমি কেমন দরদী
নিরবধি দোকান সাজাও
ঘাটে ঘাটে করো ভীড়।

কোথায় হারালো হাতের ঘড়ি
ঘুড়িটাও উড়ে গেলো মহাশূন্যে
আসলে এখন আর নাটাই
ঘুড়ি বলে কিছু নেই
ছায়াতে মায়া
আর মায়াতে কায়া
হিয়া ও হায়া বেহায়ার জালে বেঁচে থাকে
পেট ও ভাত
ঘাত ও জাত
অতপর সংগ্রাম করে লাশ
আর উপহাসের মিছিল।
আমাকে একটা ফুল দাও নক্ষত্র
আমি একটু সুবাস নেবো
পৃথিবীর কোথাও ফুল নেই
যা আছে সব বিবেকের বাজারে
ফরমালিন যুক্ত প্লাস্টিকের যাযাবর পাখি।


তুমি কেমন গণতন্ত্র
জারজে মাখা বিষ
অসহায় পায়না ন্যায্য বিচার
সহায়ের ওড়ে কিসমিস।
তুমি কেমন প্রেমিক গো রুপ দ্যাখে চুপ থাকো
ধন দেখে মন
ও খোদা একটা শ্রেষ্ঠ ভুমি কম্প দাও তোমার জমিনে
আমি নাচতে চাই আরো কিছুক্ষণ!!!