বাঁজা মেয়ে মানুষ বলে আমাকে যখন ফেলে দিলো
আমার সে সযত্নে লালিত প্রেমএই নিষিদ্ধ পল্লীতে,
যার কারণে সব ছেড়ে সবার অমতে ধরেছিলাম তার হাত
তখন তুমি নিশ্চুপ ছিলে প্রেম,তোমার কর্তব্যে।


বেশি মেলানিন নিয়ে মোটা যে মেয়েটা
গভীর রাতে স্বপ্ন দেখে কোনো রাজপুত্রকে
তার কথা কেন লেখো না কবি তোমার খাতায়।
কেন কবি!হে আধুনিক কবি
কেন তোমার কবিতা পাবে খালি ফর্সা কঙ্কনপরা রমণীরা?


আমার কালো চুল,কালো রং আমার  বেঁচে থাকার সংগ্রাম
নিভৃতে চোখের জল ফেলে যাবে?
তুমিতো প্রেমের কবি;সার্বজনীন
তোমার কথার মাদকতা,ভাসা ভাসা চোখ
উস্ক চুল তো সবার কথা বলে।


আমাকে যেদিন অন্ধকারে আঁকড়ে নিয়ে এসেছিল
কিছু পাড়ার ক্ষমতাবান পরিচিত মুখ,
যে দিন বিবস্ত্র আমার ছবি  চলেছিল পাতার পর পাতা।
যেদিন আমার শাশ্বত প্রেম,
আমায় করেছিল  বেপরোয়া তার নরম আদরে
সেদিন আমায় সে কষ্ট দেয় নি,দুঃখ দেয় নি
আমার সব সাধারণে অসাধারণ করেছিল,
তার নরম সোহাগের আদরে আমি হয়েছি উৎকণ্ঠা
সে দিন তোমার কাছে শব্দ রা বন্ধ্যা ছিল
আমি সাধারণ বলে।


তোমার স্বপ্নে আসা উর্বশী রম্ভা রমণী দের
দিশেহীন চোখ,উজ্জ্বল মুখের আলো
স্বপ্ন শরীর তো বাদ পড়েনা কবিতায়।
কেবল বাদ পড়ে যায়
কালো রং,দশটা--পাঁচ টার মানুষ জন,
দাঁতে দাঁত চাপা কঠোরাগত চোখ,
হাট ফেরত মানুষ,আলো হীন সাধারণ,
ঘামে ভেজা সাধারণ।
কবি!কবে অঞ্জলি দেবে এই সাধারণকে?
কবে লিখবে মন্ত্র?
সাধারণী নমস্তুতে,
বিবর্ণ প্রেম নোমস্তুতে, কালো কন্যা নমস্তুতে,
মধ্যবিত্ত নমস্তুতে, গরিব মানুষ নমস্তুতে।


                                            তারিখ:-২৪/১২/২০
                                             সময়:-রাত ০১ টা