সাদীর ছিল প্রিয় রাসুল কাব্যে ফুটালো প্রেমেরই ফুল
লিখলো প্রেমের অমর বাণী কাব্য হল নবীর দরুদ
সাদীর আছে প্রিয় রাসুল আমার আছো তুমি হে প্রিয়,
                 আমার  আছো তুমি ।
পক্ষাঘাতে শুয়ে শুয়ে লিখল বসরী নবীর প্রেমে
দুলে দুলে শুনলো নবী ধন্য হল কাব্য লেখা
বসরী পেলেন নবীর চাঁদর আমার চাঁদর তুমি হে প্রিয়,
              আমার চাঁদর তুমি
রুমির ছিল তাবরেজি ধন পেয়ে সে ধন হল উচাটন,
মানল না সে সীমার বাঁধন বিলিন হল অসীম মাঝে,
রুমির আছে সামস্ তাবরেজ আমার আছো তুমি প্রেমাস্পদ,
             আমার আছো তুমি
খসরু হবে স্বভাব কবি কাব্যে আঁকবে প্রেমের ছবি,
ফিরিয়ে দিলেন খিজির যাকে ফিরালোনা নিজাম প্রিয়া
খসরুর আছে নিজাম প্রিয়া আমার আছো তুমি প্রিয়া
             আমার প্রিয়া তুমি।
হাফিজ সিরাজ বক্ষে লয়ে রবি ঠাকুর চলতো এগিয়ে,
লালন শাহের সঙ্গ পেয়ে হয়ে গেল বিশ্ব কবি,
রবির আছে হাফিজ-লালন আমার আছো তুমি নটরাজ,
            আমার আছো তুমি
কাবার ছবি বক্ষে লয়ে নূর নবীকে মোরশেদ করে
গেয়ে গেলেন প্রেমের গজল নজরুল সেতো সবার জানা
নজরুল পেল আল্লাহ-রাছুল আমি পেলাম তোমায় ও বন্ধু ,
            আমি পেলাম তোমায়
আমি তুমি বিনে আর কিছু বুঝিনা
আমি তুমি বিনে আর কিছু খোজিনা,
মম দগ্ধ হৃদয় মাঝে তুমিযে বাশরী
বাজাও কি করুণ সুরে হয়ে উদাসী,
আমি দেখেছি তোমায় সাদীর চোখের কোনে
আমি দেখেছি তোমায় বসরীর অসহায় পানে।
তুমিইতো ছিলে রুমির সামস তাবরেজ
খসরুর ধ্যানে ছিলে নিজাম প্রিয়া
নত শিরে চলে রবি তোমায় নিয়ে
নজরুল বাজায় বীনা তোমার প্রেমে
তুমি যে নিশান উড়িয়েছো মক্কা-মদিনায়.
যে নিশান উড়িয়েছো দাইনূরের পাহাড়ী কসবায়,
সে নিশান ঢেঊ খেলে শামী চিশতির দরগায়।
খাজা আহাম্মদ.খাজা আবু মোহাম্মদ
খাজা ইঊসুফ খাজা কোতবদ্দিন মওদুদ।
হাজী শরিফ জেন্দানী,খাজা ওছমান হারুনী
বয়ে চলে সে নিশান প্রভু তোমার প্রেমে
তুমি গরীব নেওয়াজ তুমি বান্দা নেওয়াজ
তুমি শাহ যকীর মানস লোকে ধর নব সাজ।
তুমিযে ত্রি ভুবন মাঝে বিরাজো কত কি সাজে
প্রেম আঁখিতেে দিলে ধরা তবুও বলিনা লাজে।
তুমি ব্যাথিত হৃদয়ের টানে খুলেছো প্রেমের মেলা
তব আস্তিনে লুকিয়ে তুমি খেলযে প্রেমের খেলা।