মায়ের উদর ছিন্ন করে এলাম যবে ধরনী তলে,
দুই জননীর মায়া ভরা রুপ মুগ্ধ করল এই আমারে।
জননী আমার জন্মধাত্রি জননী জন্মভুমি!
দুই জননীর মায়া ভরা মুখ কি করে ভুলিব আমি?
এক জননী স্তন্য দানে মিটিয়েছে দেহের ক্ষুধা,
অন্য জননী আলো বাতাসে বিলিয়ে দিয়েছে সুধা।
এক জননী বুকে তুলে নিয়ে শোনাতো কত গল্প,
অন্য জননী রুপের আঁচল মেলে দিতো অল্প অল্প।
এক জননী বলিত বাঁচা যেয়োনাকো কোনখানে!
অন্য জননী বলিত সোহাগে চেয়ে দেখো মুখপানে!
দেখেছি মায়ের কি অপরুপ ঘোমটা দেয়ার পন,
হিজল তমাল কেউড়া কড়ই চামেলি শালবন!।
দেখেছি মায়ের কি অপরুপ বিছানো আঁচল খানা!
সবুজ,শ্যমল প্রতিটি কোনে বিছানো শস্য দানা।
দেখেছি মায়ের মায়ায় ভরা চির যৌবনা রুপ,
পদ্মা,মেঘনা,যমুনার ঢেউ আহা কি আপরুপ!
দেখেছি মায়ের রুপের ঝিলিক ময়া জড়ানো হাসি!
ছলাত ছলাত উথাল পাথাল সাগরের জলরাশি।
আপন স্বার্থে লুটায় যারা জননীর সম্মান!
কি করে বলি তাদের মোরা জননীর সন্তান?