নীল শাড়িটা পরে এসো ...
খালি পায়ে রাজপথ হাঁটবো,
শাহাবাগের মোড়ের গোলাপ খোঁপায় দেবো গুঁজে ...
আকাশ মেঘলা হলে চুলগুলো খুলে দিও।
পথে পথে ভালবাসবো...
খালি পায়ে রুক্ষ চুলে থাকবো আমি,
ঐ লাল পাঞ্জাবীটা পরবো।


পথ ছুটোছুটি করে বেড়ানো...
একদল শিশুদের সাথে মিলে ছেলেবেলার কথা মনে করবো ...
বস্তা কাঁধে রোজ তারা ধুলা মাখে শহরের ,
তাদের কোলে নিয়ে কিছু ধুলা মাখবো।


সিগন্যালে দাঁড়ানো কোনো বৃদ্ধার কাছে,
সুধাবো তার ব্যথা না বলা কথা।


হাত পেতে ফেরা মানুষের পাশে বসে...
গরম সিঙ্গারা দুটো পেঁয়াজ নেবো সাথে,
হাতের লাঠিটা ধরে দেখবো...
এখনো কত বল আছে তা তে।


মধ্য আকাশে সূর্য এলে...
রাস্তার পাশে বসে ভাত খাবো,
ঐ যে সেখানে যেখানে শরীরের কেলান্তি জুড়াতে...
রোজকার শ্রমিক পেট পুরে আহার করে;
দুটো মরিচ আর এক টুকরো পিয়াজ দিয়ে।


আমি আর তুমি ঘুরে ফিরবো পাথরের শহরে,
ভালোবাসার ফেরিওয়ালা হয়ে।


সূর্য পরে এলে...
বিকেলের ব্যস্ত শহর,
মানুষগুলো যখন ফিরবে ঘরে...
ঘামন্ত শরীর নিয়ে;
আমি আর তুমি চৌরাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে...
দেখবো মানুষের বাড়ি ফেরা।


গলির মোড়ে টং-দোকানে দাড়িয়ে,
ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে...
দেখবো কিভাবে সন্ধ্যা নামে এই শহরে!  
বিকেলে শার্ট প্যান্ট পরে অফিস থেকে বাড়ি ফেরা লোকটা...
কিভাবে পোশাকের সাথে নিজেকে বদলায়,
পতিতা নিকৃষ্ট বলে সকালে বক্তিতা দেয়া নেতা ...
রাতে পতিতালয়ের রানীকে কিভাবে বুকে জড়ায়।

মাথার ওপর সোডিয়ামের আলো গভীর হলে,
তুমি আমি ফিরে আসবো...
আমাদের টিনের ঘরে ...
যার সামনে থাকবে মাটির উঠান...
জানালা গলে চাঁদের আলো গিয়ে পরবে বিছানায়;
কেলান্ত শরীর নিয়ে আমার বুকে মাথা এলিয়ে তুমি শুয়ে পরবে ...
আমি তোমায় দেখতে দেখতে শুয়ে পরবো,
ঝিঁঝিঁর ডাক শুনতে শুনতে।