ডুকরে কেঁদে উঠা আবেগেরা অপ্রাপ্তির বেদনায়,
হাহাকারে ভরা তৃষ্ণার্ত মনে অশান্ত বিরহের ছায়ায়,
বলে যায় তব কথা বারবার, সুপ্ত ব্যথা ছেয়ে যায় হৃদয়টায়।
কেমন করে তব কভু না দেখা ছবি (হয়তো) রয় ভেসে অনুক্ষণ,
মুছে ফেলি ক্রমাগত, তবু কে এনে দেয় মনে পরিবর্তন।
কল্পিত হাসিমুখখানা তোমার, মনে পড়ে যায় প্রায়ই,
উৎসাহ জোগায় শত বিরহে, দুঃখ থাকুক যতই।
আজো মেলেনি তব কাঙ্খিত দেখা,
তোমায় নিয়ে কত আগাম পরিকল্পনা রাখা।
তুমিশূন্যতায় যথোচিত কাজ রয় দৈনিক পড়ে,
শোকাতপ্ত আঁখিতে দুঃখের জল অহেতুক ঝরে।
অধম, নগণ্য আমি অলসতায় পার করি মূল্যবান সময়,
অযোগ্য আমার দ্বারা কিছুই হবে না, এরকমটাই শুধু মনে হয়।
আমার যে নেই কিছুই, প্রায় খালি একটা গৃহতূল্য মন মোর,
দিন দিন বেড়েই চলছে বোঝার ভার, আর, অন্ধকার অঝোর।
শোনো, বলে দাও, তুমি আমার না, আর আমিও তোমার না,
(আপাতত, কিছুটা অভিমানে)
একাকীই যাক কেটে এই ভবে তুমিহীনা জীবন।
(জানিনা কভু তোমায় পাবো কিনা, কে জানে)
মিলিয়ে রেশটায় অচেনা মুগ্ধ সঙ্গীত মূর্ছনার,
যেন মৃদু শব্দ, বয়ে চলা একলা উচ্ছল ঝর্ণার।
চলুক না ভেসে মনতরী স্তব্ধ সায়রে নিঃসঙ্গতায় আমরণ।
(বাদ দিয়ে এসব অনর্থক কর্ম আর কথন ক্রমে ক্রমে,
শুধরাতে হবে অতি শিগগির ত্রস্ত কদমে,
সৌভাগ্য তবে দিবে হাতছানি খোদার রহমে,
নিজেকে নিই যদি গড়ে আগে-প্রথমে।)