একদিন শরতে একদল বুনোহাঁস দুনয়ন কাড়িল তাকায়ে
অন্তর বুঝিছে প্রণয়ের আভাসে শিহরণ দিতেছে জড়ায়ে।
হেনকালে কপোত-ঐ হিংসায় মাতিছে আমারে ভ্রুকুটিয়া
তুমি নিষ্প্রাণ দাঁড়ায়ে দেখিছ, অপরাধী আমাকে সাজাইয়া।


আর একদিন শরতে বিকেলে কাঁদিছ আমারে না পাইয়া
অশ্রুচক্ষে দেখিয়া, ক্রন্দন থামেনি, ছিলাম অবুঝ বলিয়া।
পিছু-হতে-টান আসিল হৃদয়ে পারিনাই ফেলিতে একেলা
প্রণয়ে গেঁথেছি দুইটি হৃদয় সেথায় করিনাই হেলাফেলা।


সেইদিন নিশিতে ডাকিতেই তোমাকে আচানক ভিতু-হইল মন
কে যেন উঁকি দিছে তোমারও দুয়ারে পর্দায় ঢাকিছ তখন।
হেয়ালি করিয়া আঁচলে লুকাইয়া কতক-পিঠা দিতেছিলে আমারে
আধারে, কালো বিড়ালটা রাগিয়া উঠিল বাহির বাতায়নের ধারে।


আজিকের সকালে মরিল অ-কালে শতরূপার ঐ-রূপ না-বুঝে
গোলাপ-হস্তে জীবনান্তে চেনা-ঠিকানায় তাহারে পায়নাই খুঁজে।
দুপুর হইলে তটিনীর স্রোত-কুলে, কাষ্ঠ-চিতায় রহে শয়নে
ভুধর কাঁপিছে, পবন হাঁকিছে, তরুলতা কাঁদিতেছিল গোপনে।


এখুনি আসিবে নতুনের বেশ-ভুষে আমার আঙিনার পাড়ে
বদনে শশির আলো- মায়াবী-নয়নতারায় ভুলিব তাহার তরে।
রইবনা,- ছলনার মায়াজালে ওপারে ডাকিবে শতরূপার নয়ন
নীরবে ভাবিও,- দেখিও তোমার নিকটও আসিবে সে-তখন।