এই আধো আধো রাতঘুম চোখে দেখা-
মুঠোবন্দী অ্যামোলেড পর্দায় এক অস্পৃশ্য সপ্ন;
যার অন্যপ্রান্তে রহস্যময়ীর প্রতিটা বার্তা-
যেন হয়ে গেছে হৃৎস্পন্দনের সমার্থক।
যান্ত্রিক মস্তিষ্ক আর অযান্ত্রিক মনের দ্বন্দ্ব চরমে
হঠ্যাৎ মনে হয় তাকে পাবার প্রয়াস নিরর্থক।


তাকে পেয়েও পাই না, ছুঁয়েও ছুঁই না,
এ এক অদ্ভুত ঘোর-
প্রতিবার আকাঙ্খাকে আরো তীব্র করে চলে যায়,
হাতরে ফিরি আমি সন্ধ্যা থেকে ভোর।
নিজের অতল হতে অতলান্তে প্রবেশ করে দেখি
দিনশেষে বুঝি না তার কতটুকু পাই;
শুধু বুঝি তাকে চাই, আরো বেশি করে চাই।


নিরবধি উৎকন্ঠার পরিণতি আঙ্গুল নিষ্পেষিত শব্দে-
বাহ্যিক দূরত্ব গাঢ় করে তোলে প্রবল আকর্ষণ,
মনে হয়, নিজের আস্তরণ ছিড়ে চলে যাই সেখানে,
অবোধ্য ভাব আর অলীক মায়া খেলা করে যেখানে,
নিয়ে আসি কিছুটা নিশ্চয়তা, সব করে সমর্পণ।
যদি বুঝি তাকে আমি ঠিক তার মতন!


সেও কি ভাবে নিভৃতে? করে অপেক্ষা?
পত্রঝরা বৃক্ষ যেমন করে নব পল্লবের প্রতীক্ষা।
যদি তাই হয়, তবে এ প্রিয় অশান্তি আর কিছুই নয়-
এক অমিয় ঈপ্সা মাত্র, "সে যেন আমার রক্তজবা হয়।"