আড়ষ্ঠতা ভেঙে প্রথম বুলি ’মা’
জন্মের আস্বাদটুকু বাংলায় খুজিঁ,
চিরসবুজে কৃঞ্চচূড়া এলো বুঝি!
লাল হলো দিগন্তজুড়ে দিকবিদিক
মিছিল, হরতাল, গুলির ধৃষ্টতা
পলাশের লালে কাটেনি কৃচ্ছতা-
সাধন, হলো রক্তিম রাঙা আভায়,
চেষ্টার তেষ্টায় হৃদয় জানে চেষ্টায়-
প্লেকার্ডের শরীরে আঁকে জনপদ ।
শিমুল পলাশের আঘ্রাণ মেঁখে গায়,
ভালবাসে যারা তারাই যুদ্ধে যায় ।
‘মা’য় ডাকে আঁচলে ‘ফিরে আয়’ ।
রক্তবীণায় ছুঁটে চলে দুধের নহর,
জড়ানো বর্ণমালা গড়ে ছন্দ বহর।
চোখে উম্মাদনায় সবুজ মন,
বিষন্ন লাল খুঁজে আপন জন।
কোমল চোখে অগ্নিষ্ফুলিঙ্গ উৎক্ষিপ্ত
উল্কাপিন্ডরা অগ্নিগর্ভে বিষ্ফোরিত।
বাধাঁর দেয়াল ভাঙে পলাশের দল,
মৃত্যু বুঝি চেতন ছাড়া সবুজ –চল্ –
চল্ রে চল্, বর্ণমালার চোখে জল ।
মৃত্যুর গন্ধ হাওয়ায় ভাসে,
কথার ঝুড়ি নিয়েই আসে ।
বিজয়ের গান চলে বর্ণমালা জুড়ে
রক্তের বীজ আজও বেড়ায় ঘুরে।
অবশিষ্ট যা থাকে অচলায়তনে,
বাংলারা এসে দাড়ায় বাতায়নে।
সবুজ শ্যামল আমার জন্মভুমি,
প্রিয় মুখ, ঠোট ফাগুন দৃষ্টি তুমি।
কৃঞ্চছূড়ার লাল, জোনাকীর যত আলো
ধাঁনক্ষেতের শামুক, বাবুই, শালিক
কন্ঠে,কেশে শিমুল,পারুল লাগে ভালো
কুয়াশার চাদর, বিষন্ন দুপুর
বর্ণমালার পায়ে তালে নূপুর।