আমি বাংলাদেশ বলছি।একদিন লাওয়ারিশ ছিলাম ।
যে যেই নামে সম্পাদন করত তাই আমার নাম ছিল ।
বৃটিশ আমাকে দুইশত বছর জোঁকের মত শুষেঁ খেয়েছে ।
আমি ধরীত্রির বঞ্চীত শোষীত ভূ-খন্ডের প্রতিনিধি ।
সাতচল্লিশে দেশ ভাগ হওয়ার পর একটি অনিবন্ধীত নাম পেয়েছিলাম পূর্ব পাকিস্তান ।
লাওয়ারিশ ছিলাম ভালই ছিলাম নামটা যে কাল হয়ে দাঁড়ালো ।
আমার মঙ্গলা কুটুম পশ্চিম পাকিস্তান আমাকে ক্রমশ গিলে খাচ্ছে  ।
ফসল ফলে আমার উর্বর শরীরে শ্রম দেয় আমার আদরের  সন্তানেরা  ।
আর তা ভোগ করে ভীনদেশী কুটুমের নিলজ্জ্ব সন্তানেরা ।
আমার গৌরবান্বিত  সন্তানের গৌরবান্বিত ভাষা কেড়ে নিতে চায় ওরা ।
কেমন তাদের সাহস , আমার ভূ-খন্ডে আমার ছেলেদের বায়ান্নতে গুলি চালায় ?
রফিক ,জব্বার ,সালাম ,বরকতের রক্তে আমার দেহ লালে লাল
এই রক্তই  আমার ভূ-খন্ডের স্বাধীনতার জন্ম দেয় ।
রাজাকার ,আলবদর ,আলসামস আমার পাপিষ্ট কুত্‍সিত সন্তান ।
আমার শরীলে পা রেখে আমাকে ধংসের কাব্য শোনায় ।
এই বেঈমান ঘাতকদের আমার ভূ-খন্ডে থাকার অধিকার নেই ।


আমার দুঃসাহসী সন্তানেরা এবার ক্ষেঁপে উঠেছে ,কন্ঠ তাদের বিদ্রোহী ,মুক্ত বিহঙ্গ উতালা নাচ তাদের  প্রাণে ।
তাদের মুখে মুখরিত স্বাধীনতা স্লোগান ,রক্তে রঙ্গিন ব্যানারে স্বাধীনতার আহবান


একাত্তরে নয়মাস মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ সন্তান হারালাম ।
বিনিময়ে স্বাধীনতা ,একটি পতাকা ,একটি মানচিএ পেলাম ।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আমি গিলে খেয়েছি ,সেই রক্ত আমাকে নাম দিয়েছে বাংলাদেশ ।
আমি আজ মুক্ত ,মুক্ত আমার সন্তান ,মুক্ত আমার ফসলী মাঠ ।
যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ আমি ,এবার স্বপ্ন দেখার পালা  ....


আজ এতটা বছর পার করে দেখি ,অমেরুদন্ড বেঈমান গুলো মেরুদন্ডে পরিনত হয়েছে ।
আমার ভূ-খন্ডের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে উতলিয়ে উঠেছে ।
একাত্তরের বেঈমানদের লিফলেটে আমার ধংসের কাব্য প্রচার হচ্ছে ।
মৌলবাদীর বোমার আঘাতে আমার মাটির শরীল ক্ষত -বিক্ষত হয়েছে বারংবার ।
তবে সাবধান ।কুকুর পন্থী একাত্তরের বেঈমান কাপুরুষের দল ।
আবার বায়ান্ন ,একাত্তর জ্বলসে উঠবে ছারখার করবে তোদের আস্তানা ।
আমার প্রজন্মকে বলছি  ।
আবার একাত্তর হোক  ।
এই একাত্তর হবে পাকিস্তানের দালালের বিরুদ্ধে ।
যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের দাসী বানাতে চেয়েছিল ।।।