প্রিয় তারিণী , আশা করি ভালই আছো ,
তোমার নতুন সংসারে , স্বামীর সাথে ।
এই চিঠিটা তোমাকে লিখছি
হৃদয়ের গভীরে যে বেদনার জং ধরেছে
সেই জং গুলোকে ছাড়িয়ে নিতে ।
তুমি তো জানো , তুমি একমাত্র
যার কাছে কষ্টগুলোকেও হেসে হেসে
বলতাম , বলতে পারতাম ।
জানি আজ আর হেসে হেসে বলার
কোন অবকাশ নেই , তুমি অন্যের ,
আজ তুমি অন্য কারও কষ্ট ভাগ করছ ,
অন্য কারও বুকে মাথা রেখে ঘুম দিচ্ছ ।


তোমাকে বলেছিলাম তো , চাকরিটা আমি পাবো ।
টেট ভালো হয়েছে , ইন্টারভিউয়ে প্রশ্ন সহজ ছিল ।
আজ চাকরিটা আছে , তুমি নেই ।
পরিণত বয়সে প্রেম করেছি বলেই হয়তো  
আজ তুমি অন্য কারো ।
তা নাহলে হয়তো তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম
কোন লোক লজ্জাও থাকতো না ।


তোমার বাবার সাথে সেদিন দেখা হল ,
জিজ্ঞেস করলেন , পোস্টিং কোথায় ??
বললাম সদর ওয়েস্ট , কুমার পাড়ায় ।
আবিস্কার করলাম , তোমার বাবার মুখটা কুঁচকে গেল
কিছু বললেন না , ভালো থেকো বলে চলে গেলেন ।


বিয়েতে বলো নি , না বলাটাই স্বাভাবিক ,
প্রেমিকার বিয়েতে থাকাটা ভীষণ বেদনার ,
আমার বিশ্বাস , তুমি সেটা ভেবেই বলতে চাওনি ।
যাইহোক , সেদিন সুমী বলল
তোমার বিয়ে হয়েছে কুমোর পাড়ায়
আমার স্কুল লাগোয়া দু-তলা বাড়িটায় ।
বুঝলাম সেদিন তোমার বাবার মুখ কুঁচকানোর কারন ।


আজ নিজেই মেসো মশাইয়ের সাথে দেখা করলাম
আশ্বাস দিলাম , চিন্তা করবেন না ।
ও ভালো থাকবে , আমাদের কথা হবে না ।


যাইহোক , এই চিঠি লিখছি কারন
তুমি যাতে আনকমফরটেবল ফিল না কর
বাড়ির পাশে প্রাক্তনকে  দেখতে পেয়ে ।
ভালো থেকো , ইতি তোমার প্রাক্তন ।