কাহার করিব প্রণাম সবই এখন ভগমান ,
যেথায় আছে ভোজনালয় রাক্ষস সাধু ধ্যানে বয়।


খাল-বিল নদী নালা ভোজন করা খায়েশ ওদের,
ইঁদুর শিয়াল সব চাঁদা দিতে বাধ্য শিষ্য বড় ভাইয়ে মোরা।
নেতা-নেত্রী গজিয়েছে সকল চৌরাস্তা।


ঐ দেখ বস্ত্র পল্লীতে জলছে আগুন উড়ছে ধোঁয়া।
ঐ দেখ মরছে মানুষ পিষ্ট হয়ে মটরগাড়ি তলে।
ঐ দেখ মরছে ওরা ধুঁকে ধুঁকে মহাজনের ঘরে।


মহারাজের খয়রাতের টাকা বাটিতেছে ওরা সকলে মিলে।
ওরা চোর নয় বাটপার নয় জনগণের নির্বাচিত নেতা।


তাই তো তারা লুটিতেছে সকল শালার চাকা।
চোর চোর চোর গণধোলাই হবে এবার সর্বজনতা।


লাউ চোর কুমড়া চোর রাস্তার ধারের ফুচকা চোর।
পিট পিট সকলে মিলিয়া পিট চোরের গোষ্ঠীচোর।


আহ! সুবিচার করেছে ওরা দশ টাকার কমলা চোরের তারা।
চোর কেঁদে কেঁদে কহে,পেটের ক্ষিদায় চুরি করে মহা পাপিষ্ঠ।


নির্বোধ অন্ধ পাষান্ডের দল দেখনা তোমরা !
চুরি করিয়া সাহেব বানিয়েছে মহা অট্টালিকা।


বড়লোকে যত আছে ইট হতভাগ্যের রক্তে তাতে মিশিয়া।
ঐ দালানে কত খাবার ভিনে পড়ে আছে,
কুঁড়েঘরে মরছে মানুষ ধোঁকে ধোঁকে।


ঐখানেরই খেলনায় আছে যত মোহর, দোলনায় মানিক চাঁদ।
এখানের কুঁড়েঘরে টিপ টিপিয়ে পানি, পড়ে ধোলায় শিশু নাচে।
ঐখানেতে শিশু নাচে কোমর দোলাইয়া,
এখানে শিশুর কাঁধে বোঝা সর্বদা।


বলিয়াছি সত্যতথ্য আসুক কাল ধোঁয়া ।
মানিয়া নিব আমি চোখ বন্ধ করিয়া
তবু দেখিতে চাই না এই বৈষম্যে ইনসাফ।।