----কান্না থামাও এবার"
-----দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী
দ্যাখো ও দরদিয়া তুমি মোর ধানুকী গো আমি তব তীর
ব্যাকুলা আদরে মেখে দিবো স্বতঃস্ফূর্ত অঙ্গ যে সোনার
প্রেমবিষে কাঁদেনা কাঁদেনা সোনা-
ওগো লক্ষ্মীসোনা রোদন থামাও তোমার
আঁখি জলে ভেসে যদি হৃদয় ফাটিয়া যায় আমার।
দোহাই দরদিয়া কছম-তোমার-কান্না থামাও এবার?
ওগো অনন্যা- তোমারে হেরিয়া চাঁদ উঠে-


ঐ যে চেয়ে দ্যাখো-তারা হাসে,
রাতের আঁধার  উল্লাস হৃদয়ে পাইতে চায়-পরশও তোমার।
বিনন সুষুপ্তি মনে হেসে কতো জ্বলে উঠে
আপনও স্বপনে-
তুমি বিমূর্ত স্বপনসিন্ধু তোমার উৎসবও অঙ্গনে।
নন্দনে বন্ধনে বিশ্ব স্বপ্ন তুমি
নিখিল গ্রহে জ্বলে তোমারই কিরণ
প্রতিটি প্রাণে তোমার গভীর অতল গানে প্রশান্তি পায়
তরুলতা জল স্হল প্রেমের আনন্দ রঞ্জনে।
বুভুক্ষু আসক্তি রসে জলে ভরপুর
নিজ স্বার্থে নেচে উঠো লুব্ধ বাসনায়
হে প্রাণেশ্বরী-যেন তুমি ধনুকের জ্বালাময়ী ধীর্ণকরা তীর
পরমও বস্তু-রসে সৌন্দর্য লিলাখেলে তোমার-ই অন্তর।


বিচিত্র রূপে হেসে স্পর্শ করে মুক্ত করো  নিশার শিশির-
জানি আমি মোর তৃষ্ণা পান করে
তৃপ্তি পায় তোমারি রূধির।
মানবী মৃন্ময়ী ধরণীর স্বর্গময়ী-
প্রেমের অঞ্চলে বেঁধে-সর্বঅঙ্গে রাখো চিহ্ন মঙ্গলও চুম্বুন
প্রেম নিয়ে প্রেম দেও প্রজ্বলিত করো দেহ লভে অনুপম
প্রতিপদে তুমি মূর্ত্য শান্তির অভয় লক্ষ্মী আনন্দ রঞ্জন-
কী,দারুণ স্পন্দন গতিতে চলো হেলে দুলে
বিনুনির অঙ্গভঙ্গি করে না বারণ।
তরঙ্গে প্লাবিয়া জ্যোতির্ময় অন্তহীন আপনও কিরণ
প্রেমরসে গভীর রজনী হাসে পদ্মযোনি আনন্দ আসন।
ব্যাকুলা আদরে মেখে দিবো স্বতঃস্ফূর্ত-অঙ্গ যে সোনার
প্রেমবিষে কাঁদেনা কাঁদেনা সোনা-
দোহাই দরদিয়া-কছম তোমার- কান্না থামাও এবার।
---------------------------------------------
প্রকাশিত----
কবি ও কবিতার ওয়েবসাইট।
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
------------------------------------+