--আঁখি যুগল"
--------দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী
ভোরবেলা আঁখি মেলে চেয়ে দেখি সম্মুখে আমার
সমুদ্রের ঢেউ নাচে,অগণিত লাশ নিয়ে চলে নির্বিকার।
ভয় নাই সমুদ্রের- গর্জনের খোলা বুকে অজস্র লাশ,  প্রাণ নিয়ে প্রাণ চাটে কোটি কোটি কবরের আবিল আকাশ।
আমি যখন যুগল আঁখি বন্ধ করি-
এ বিশ্ব আকাশ নক্ষত্র চাঁদ সবই যায় মরে
আবার যখনি চোখের পাতা মেলি ভাগ্যক্রমে-
ফিরে পাই প্রাণ নতুন করে।
দেখতে পাই কতকিছু আমার মনের ঘরের চিন্তা জুড়ে,
পাখির দল উড়ে যায় সূর্যের আলোর ভিতর-
প্রভাত জেগে উঠে---


মানুষের দল জোড়ায় জোড়ায় নৃত্য করে
আর স্বাধীন আকাশ অন্ধকারে চোখ মেলে
চাঁদের আলো নিয়ে ধেয়ে আসে পৃথিবীর ঘরে।
আমি আঁখি যুগল বন্ধ করি আর মহাবিশ্ব যায় মরে)
সুখদুঃখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে স্বপ্ন দেখি আকাশ নক্ষত্র চাঁদ
আমায় যাদুটোনা করে আমার শয্যার শিতানে-
আমাকে যেন তারকারাজি পাগল করে মাতাল চুম্বনে।
আমি চারিদিকে তাকাই মনের চিন্তা জুড়ে-
দুঃখের পাহাড় দিয়ে ধাক্কা দেই-
খুলে যায় আকাশের ছাদ,
নরকের তেজ যায় সরে- আমি ঘুমাই
এ মহাবিশ্বের মহানিশা সবই যায় মরে।
ছোট মনের মানুষগুলো অন্যায় দেখেও দেখে না
কাপুরুষের দল যতটা না অনড় অন্যায় বিস্তৃতির পথে
ভালোবাসি বলে ভালোবাসা জাগে আমার চিন্তা জুড়ে।
হে মানুষের দল মানুষ হও তোমার সমস্ত চিন্তার ঘরে-
যে শৈলী ন্যায়ের পথে পছন্দ করে সরল বিশ্বাসে
অলেখা কপালের লিপি পূর্ণকরো উন্নত নিঃশ্বাসে।
অতন্দ্র প্রহরী কুকুর কূজন মুখরিত--
মনিবের চারপাশ্বে ঘুরে-


প্রেরিত নিরিখে মনোরম মনের বিস্ময় নিয়ে দ্যুতি দৈব
হাওয়ায় উড়াল দাও ন্যায়ের পথে-
দেখবে সবাই তোমার ভিতর সঞ্জীবনী সুধার খনি-
মরন এসে টানলে তোমায় হাত দুটো তাঁর হবে নিথর
বেদায় বেলা কাঁদবে সবাই ভালোবাসার কঠিন নিগড়।
অজস্র প্রাণের তৃপ্ত নিঃশ্বাসে দুঃখ যে সব যাবে ছিঁড়ে-
নিদারুণ দুঃখ হাড়ে হাড়ে আর করিবে না ঠোকাঠুকি
কীর্তি রইবে উষ্ণ আবেগে গভীর স্নেহে করিবে সমাদর।
জীবনের স্রোত হতে দূর করে দাও নরকের নদী
দূরের তারারা উঠিবে জ্বলিয়া আকাশের গায় ছড়ায়ে নিরবধি।
কপাল হইতে কপোলের জ্যোতি কিরণ বিলাবে
প্রতিটি দারুণ ভোরে--
আমি আমার আঁখি যুগল যখনি বন্ধ করি
এ মহাবিশ্ব আকাশ নক্ষত্র চাঁদ সবই যায় মরে।


প্রকাশিত কবি
কবিতার ওয়েবসাইট।
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।