চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়,
রোদে তুমি ঝলসে যাচ্ছো,
না ভুল বলেছি,
তোমার কিরণ যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে ৩৫ ডিগ্রির আলো,
তুমি ভালো,
আমিও মন্দ না,
এসো না আমার ঘর্মাক্ত বাহুডরে,
ভালোয় ভালোয় মিলে কিছু নতুন ভালোর জন্ম দিই,
লাল রঙের শাড়ি সেটা দেখা যাচ্ছে তবে সেটাকে বেনারসি,সিল্ক না জামদানি বলে আমার তা জানা নেই,
তোমার মনের অনেক রহস্যই এখনও আমার জানা নেই,
তোমার মুখ টিপে হাসির ঐ লাল দুই ঠোটে চুম্বনের আকাঙ্ক্ষা বহু পুরুষের,
আমার নেই,
তোমার চুলের ঘ্রাণ,
গন্ডদেশে নাক ঘষতে পারার বাসনা,কামনা বহুপুরুষের,
আমার নেই,
বোধহয় আমি ওদের মতো পুরুষ না,
কামনাকাতুর প্রেমাতুর মতিচুরি ইচ্ছা ও নেই।


আমার,
তোমার বাম অথবা ডান পাশে বসে,
কোন গালে তিল তার মুখস্থ করার আজব বাসনা আছে,
একটিবার তোমার পাশে বসে থেকে সূর্যাস্ত,সূর্যোদয় দেখার কামনা আছে,
তোমার সাথে সারাবিকেল বিনা বাক্যস্রোতে
শুধু দুজোড়া চোখের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর প্রেমের মহাকাব্য রচনার বাসনা আছে।


তোমার উত্তাপ ঐ চৈত্রের চেয়ে তীব্র,
তোমার দাহ্যতা আমার হৃদয়ের সরল শুষ্ক কুল কাঠের অস্তিত্ব নিঃশেষ করে মুহুর্তেই,
আমাকে আর জ্বালিও না,
আমি দূর্বল কাঠ,
আমাকে দিয়ে ভারী কোনো আসবাব ও বানিও না,
আমার হৃদয় দূর্বল কাঠ,
আমাকে দিয়ে নিজের পছন্দের কোনো,
সৌন্দর্যবর্ধক সৌখিন কারুশিল্পের তৈজস বানিয়ে রেখো,
আমাকে প্রতিদিন একবার হলেও ছুয়ে দিও,
খোদার ফুকে আদমের প্রাণ,
তোমার ছোয়ার আমার দ্বন্দের প্রতিত্রাণ
প্রিয়তমা,
তোমাকে কিভাবে বললে বুঝবে বলো,
তুমি শূন্য আমার আমার জীবন,
কয়লা সদৃশ যৌবনের ত্রিভুবন।