আমার প্রিয় চট্টলাই,
নীলসবুজ সাগর-হাওয়ার শহর,
আবার চলে এসো,
তোমার মলয়ভরা শ্বাসে আমি সাজিয়েছি
এক অনিঃশেষ আলোক-পথ।
দেখো,
স্বপ্নের ঢেউয়ে গাঁথা অট্টালিকা তুলেছি,
কাঁচের দেওয়ালে ছাপ রেখেছি
তোমারই উজ্জ্বল চোখের ছায়া।
হাজার ডায়েরি, হাজার কবিতা
সবই তোমার নামের শিকড়ে বাঁধা,
শব্দগুলো নীরব রাতে জ্বলে ওঠে
জোনাকপোকার মতো,
ঘুমহীন আঙিনায় জেগে থাকে
শব্দ-ভাবনার শিখা।
পথের ধারে রেখেছি
অসংখ্য মোমের প্রাণ,
জ্বলছে তারা উজান হাওয়ায়,
প্রতিটা শিখায় আমি লিখে রেখেছি,
“প্রত্যাবর্তনই বিজয়,
প্রিয়তমার পদধ্বনি যেন না থেমে যায়।”
ফিরে এসো, চট্টলাই,
ফিরে এসো নীলাভ ভোরে কিংবা
সবার অগোচরে জ্যোৎস্না-ঢাকা রাতে।
যেদিন তুমি পুনরায় বুকে এসে দাঁড়াবে,
সেদিন অক্ষরের এ পোড়া শহরে
ধ্বনিবে হেমন্ত-বংশীর অমর সুর;
আর তোমার রঙে রাঙা এই গ্যালারি
প্রেম-কথার যাদুতে বেঁচে থাকবে
শতবর্ষ পরে, সহস্র হৃদয়ে।
এসে দেখো,
তোমাকে ধারণের জন্যেই
আমি হয়েছি আকাশমাঠ,
যেখানে প্রেম সন্ধ্যারঙে জ্বলে,
আর প্রতিটি নিশ্বাসে উচ্চারণ করি
তোমারই নাম, চট্টলাই,
অদম্য, অনন্ত, অমর।