একদা দেখলাম তেরো বছরের রমার বিয়ে!
বাসা আসি কয়, কাকু বাঁচাও মোরে!
হাঁটিহাঁটি গিয়ে বাড়ি সাঁঝ বেলা; বলিলাম, গণেশ!
তেরো বছরে মেয়ে বিয়ে দাও কেমন করে?


কহিল গণেশ মেয়ে আমার জবান আমার
আমিই খাওয়াই,
বিয়ে ঠেকাবে তুমি কেমন করে?
শত বোঝালাম, যুক্তি দিলাম
বিয়ে হয়ে গেল সেই মাঝ রাতে।


আট দিন পরে রমার দেখা
আমাদের উঠোন পরে
চুপিচুপি কয়, জানেন কাকু,
“পতি নেই আর আমার ঘরে!
আর যাব না, ফিরি আসিছি মা’র তরে।“


জানেন কাকু, “আমি বেঁচে গেছি!
বুকের রক্ত শুকিয়ে যায়!
ঘড়ির কাটা চলে না!
পতিটা মোর শুয়োর ছিল,
রক্ত বুঝে না!”


চোখের সামনে ক’দিন পরে
আবার রমার বিয়ে!
তারপর শুনি, হতভাগী দিয়েছে গলায় দড়ি!
নিজের হাতে সাদা দেহটা
শুয়ায়ে দিলাম চিতায়।
তারপর থেকে স্মৃতির কলম আমাকে শুধু বাজায়!


লেখার জন্য কাঠামো পেলাম
স্বপ্নে স্বপ্নে অবয়ব দিলাম
কাঠামোর উপর তৈরি হলো প্রতিমা।
নাম দিলাম কল্পিত কবিতা!
কোথায় শুরু কোথায় শেষ
ভাবতে হয় না বিন্দু লেশ।
নদীর মতো বয়ে যায় লেখা
কবিতার চরণ চারিপাশে যায় যা দেখা।


সেই থেকে শুরু ঘাটের নৌকো সমুদ্রে নামালাম
সমুদ্রের মাঝে ভাসছি তো ভাসছি
পাঠকের সাথে আজো ভেসে আছি
হঠাৎ দেখি একদিন লেখক বনে গেছি।