আজকের জগৎ সংসারে আমি কে?
কে আমি?
বলতে পারেন?
আমি কে?
ছোট বেলায় নাক ঘামত, তাই দেখে
মা-চাচী ফুঁফুঁরা বলতেন,
কুষ্টিতে লেখা আছে জাতক বউ কপালে!
ভুল ছিল না কতো জন তো ঠিকই ঈর্ষায় জ্বলত!
রঙিন প্যাডে কতো কবিতা লিখে নিতো
নিজের বলে চালিয়ে দিতো!


বেশ তফাতে দাঁড়িয়েও মেয়েছেলে দেখলে
মুখটা পলাশ ফুলের মতো লাল হতো
দেহের সব লজ্জা মুখে ভর করতো
নিজের জন্য রঙিন প্যাডে লেখা হয়নি।
তবুও আমি নষ্ট ছেলে
নষ্ট কপাল আমার!


আজকে দেখি আমার গলায় দড়ি!
জগৎ সংসারে আমি শুধু টাকা কামানোর মেশিন!
আমার কথায় কেউ রান্না ঘরে যায় না
আমার কথায় ঔষধের বাক্সটা দেয় না
আশেপাশে কেউ নেই।
কেউ নেই আমার জন্য!
কেন এমন হয়, কেউ বলতে পারেন?


আমি দু’হাত তুলে উপরের দিকে মুখ করে বলি..
হে সৃষ্টিকর্তা....
তুমি আগামী পঞ্চাশ বছর ধরণীতে পুরুষ পাঠিও না
ওদের উচিত শিক্ষা হোক!
বন্ধ হোক, রাঙানির আধুনিক সব চোখ।
নপুংসক হতে কে চায়?
মুখ ফুটে কথা বলার স্বাধীনতা সকলে চায়।


এক সময় দেখা যেতো তাঁদের বুকে রক্তের ছোপ
এখন রক্ত খাওয়ার নেশায় তাঁরা দাবার টোপ
পথে পথে পরে থাকে পুরুষের ব্যক্তিত্বের খুলি
রক্তাক্ত অন্তর তবুও মুখে প্রশংসার বুলি!


আমার মুখ এখন পলাশ ফুলে মতো লাল হয় না
মনের ভেতর আগুনে ঝলসে গেছে
পোড়ার গন্ধ দেহ-মনে সর্বাঙ্গে
সে আগুন দেখা যায় না, সে জলুনি একান্তই আমার
শুধু আমার।


ওঁদের অভিশাপ দেবো না, নিজেকে দেই
পঞ্চাশ বছর পুরুষের আগমন বন্ধ হোক
পুরুষ ছাড়া তাঁরা আরো আধুনিক হোক
ফুটে যাক আরো বড়ো বড়ো চোখ
এই জন্য দু’হাত তুলি
সৃষ্টিকর্তার কাছে বারবার বলি
আমি যেনো শেষ অঙ্কটা একা একা কষতে পারি।


ওপারে গিয়েও যেন এই জলুনি থেকে বাঁচি
একা থাকি।
পারলে দোজখে দিও
তবুও ওই আগুনে যেন আর না পুড়ি।