কেন এই অহেতুক দুঃখ ভোগ?
কেন এই বেলা অবেলার রোগ?
কেন এই অবাঞ্ছিত বেদনার ঝড়?
কেন এই রণনিনাদের হুংকার?


কেন এই মূল্যহীন আত্মবিসর্জন?
কেন এই যত্নের অবমানন?
কেন এই একান্ত ডুবে যাওয়া?
কেন এই ধর্মহীন খাওয়া?
কেন এই অনুভূতির সংবেদনশীলতা?
কেন ধর্মের ভয়ংকর বৈরিতা?


কেন এই ভ্রান্তির পথ চলা?
কেন এই বেফাঁস বলা?
কেন এই অশেষ যন্ত্রণা?
কেন এই সমাধিহীন ঘৃণা?


কেন এই ক্রোধোদীপ্ত বিবাদ?
কেন এই একই মৃত্যু কামনা?
তাহলে কি সুখের জন্য এই কুমন্ত্রণা!


আমি পেয়েছি সুখের খোঁজ
সুখপানে চেয়ে থাকি রোজ রোজ।
মনুষ্য জীবনের শেষ জ্ঞানটুকু অবিনশ্বর,
মানব জীবন সংক্ষিপ্ত ও নশ্বর।
মনুষ্য জাতির প্রার্থনায় হয় না কিছুই
নিয়তিতে লেখা পূর্বে সবটুকুই!
তুমি যতই হও মান্যবর
সুখি হতে মৃত্য’ই একমাত্র কর!


মনুষ্য কখনো কি সুখি হয়?
জীবিত মনুষ্য কোনোদিন সুখি নয়।
অন্ধকার কবর যতদিন না টেনে দিবে যবনিকা
ততদিন মনুষ্য কোনোক্রমে সুখি না।
জীবিত মনুষ্যকে কেউ সুখি বলো না,
সুখি দাবি বড় ছলনা, যন্ত্রণা।