আমার সকল আয়োজন সবই বৃথা
এই শহরে কিংবা অন্য শহরেও
কারে খুঁজি আর কি কারণেই বা বেঁচে থাকা !
একদিন ধূলিসাৎ হবে চোখের দৃষ্টি
আর ধূলিসাৎ হবে সকল চাওয়া পাওয়া।


কোথায় হারিয়ে গেলাম আমি ; আমার সন্নিকটে
সাহস করে বেঁচে উঠিলাম আবার
চাই আরো মনোবল আরো বিশ্বাস
বাঁচতে তো চেয়েছিল সে ও
কিন্তু কত জনই বা বেঁচে ফেরে সেখান থেকে ?
না আমি মানুষ কে কখনো জানতে চাইনি
হয়তো তাদের হৃদয় বুঝিবার ক্ষমতা আমার ভিতর নেই (শূন্য আরণ্যক এ যেন পাখির বাসা)
কিন্তু এটাও ঠিক যে সকল ক্ষমতার পথকে
আমি পা দিয়ে দলিয়ে যায় এক নিমেষে।


আমি প্রাণভরে আঘাত করি একজনকে
না আমি কখনো দ্বিতীয় কাউকে আঘাত করিনা;
এখানে রাত্রি হ'লেও সেখানেও আঁধার
জোনাকিরা আলোকিত করে অন্য জনকে
নীলাভ ঘন গাঢ় অন্ধকার পথে
আমি হেঁটে যায় আমারি চোখের রাস্তা দিয়ে
না হয় কাঁটাতারের মানচিত্র পেতে।



আমার সকল আয়োজন বৃথা হয়েছে
কিন্তু তাঁদের আয়োজন বৃথা হয়না কখনো
তাঁদের সকল আয়োজনই বা কিসের জন্য??
আমার নিজের পাতের অন্ন শুকিয়ে
দিতে কি পারি ভিক্ষার ঝুলিতে একমুঠো অন্ন?


এ আয়োজন কিসের জন্য?
কাদের সীমানায় বা বারোমাস আসা-যাওয়া
আমার মৃত্যুর পথে পাথর খসেছে
মৃত প্রেমিকের কঙ্কালের হাড় জেগে ,
রাত জেগে প্রহরী হওয়া
খুব দ্রুত কি কারণেই বা শহরে আসা যাওয়া।
দেওয়ালে দেওয়ালে বিরহ লেখা
জীর্ণ হাতেয় বর্ণ লেখা
কার নাম লিখেছে তাঁরা
কিন্তু আমার নামটিই একমাত্র তাঁদের অজানা।


ধমনীতে বিষাক্ত রক্ত
পান্ডুলিপি সব ভিজে গেছে
তাজা রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায়।
এ যেন আমার মৃত্যুর আয়োজন ;
হাজার শহীদ মিনার সব বাড়ন্ত
এটাই একমাত্র আয়োজন, বসন্ত হলুদের বেলায়।।