...রুদ্ধনিশ্বাসে রিক্তহস্ত অপলক
কি বা তাহার মায়া নিরন্তর;
উদিতমান ভোরের সূর্য কজ্জল
মেঘ ভেসে যায় উজ্জ্বল।
রাতজাগা নিশাচর পত্র
ফাঁসির তারিখ বলে যায় নির্মল।
                        দিন আসে দিন যায়
                        অশ্রু নদী বয়ে যায়।
কিঞ্চিৎ পরিমাণ সাফল্য সামর্থ্য
সাধ জাগায় অনুগ্রহের অনুবাদ।



অন্ত্রজ্বর আমার সাধনা চিরকাল
ফাঁসির দড়ি লিখে দেয় অনুভব।
কোনো এক নীরব মৃত্যুর দেশে
লাশ চলে যায় জীবন্ত বেশে।
                         বিষে তৈরি নিকোটিন
                         আগুন জ্বালায় অন্তরে।



দেওয়া নেওয়ার কারাগারে
বন্দী আমি ফাঁসির কয়েদি হয়ে।
আমার মৃত্যুর সরঞ্জাম
দড়ি আর কালো কাপড় অনুক্ষণ।
অনিদ্রা আমার বারোমাস
দুঃখের পাতা ঝরে পড়ে টপাটপ।



আমার মৃত্যুর অনুপাত
পাহাড়ের সমান কঠিন সমাধান।
বিনা দোষে দোষী আমি
ফাঁসির তারিখ রাখি মনে।
                   মৃত্যু ঘটতে পারে না
                   আমার কল্পনার জগতে।



রক্ত পিপাসার বিষাক্ত রাত
হিংস্র পশুর নখের মতো
আমার সীমানায় দাঁড়িয়ে আছে;
অন্তরাত্মা হৃদয়ের প্রদীপ
অন্ধকার হয়ে প্রবেশ করছে
আমার ফাঁসির কারাগারে।
                   আমার অবদান লেখা
                   কবিতার পাতায় পাতায়।



আমার মৃত্যুর প্রথম কবিতা
আকাশ বাতাস মরু পাহাড়,
সাক্ষী হয়ে রয়ে যাবে।
আজ থেকে বহু বছর আগে
সাক্ষাৎ হয়েছিল মৃত্যুর সাথে,
অনুভবে কল্পনা রেখে যায় বঞ্চনা।
                    ভোর হয় পাখি ডাকে-
                    জীবন দাঁড়ায় অন্ধকারে।



আমার সকল কবিতা মৃত্যুর কথা বলে
অনায়াসে জীবন দান করে মৃত্যুর লাশে।
আমার নীল ডায়েরির
"নীল চিরকুট" উপন্যাস
তারার দেশে অন্ধকার জ্বালে;
ফাঁসি হয়ে গেলো আজ রাত্রে।
                   এ ফাঁসি নয়তো মৃত্যুর
                   এ ফাঁসি অমরত্ব লাভের।



আমার প্রত্যাশা জমানো রাগ
বৃষ্টির প্রতিটি বিন্দুতে ঝরে পড়ে।
আমি মৃত্যুর বিছানায় শুয়ে
স্বপ্ন দেখি গভীর রাতে।।


            ২৯/০৬/২০২১