স্রোতহীন নদী বয়ে চলে
মৃত্যুর কারাগারে;
হিমালয়ের হিমশৈল
সারা শরীরে কাঁপুনি ধরাচ্ছে।
আমার চোখে মৃত্যুর রাস্তা
কারাগারের সীমানায়।
আমার লেখা কবিতা
মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগ করছে
মৃত্যুর কারাগারে।
এই মৃত্যুর কারাগার
শত শত বছরের পুরানো-
অতীতের"কালের কষ্টি পাথরের"।
কেবলি ভয় মৃত্যুর সম্মুখীন হয়ে
অনুভবে কল্পনা মৃত্যুর কারাগারে।



কোনো এক অচেনা মানুষ
এসেছিল এই মৃত্যুর কারাগারে-
তাহার মৃত্যু ঘটেছে অনায়াসে
হাজার বছর আগে।
কিন্তু আমার মৃত্যু ঘটেনি
এই মৃত্যুর কারাগারে।



মৃত্যুর কারাগারে বিষাক্ত বাতাস
সারা দিন-রাত বয়ে চলে;
আমার লেখা কবিতা
মৃত্যুর যন্ত্রনা থেকে তখন'ই মুক্তি ঘটে।



এ মৃত্যুর কারাগার
শুধু আমার কবিতা লেখার জন্য
অন্য কারো জন্য নয়!!
ভুল করে কেউ যদি
মৃত্যুর কারাগারে আসে,
তাহার মৃত্যু অনিবার্য
এই মৃত্যুর কারাগারে।
আমি মৃত্যুর কারাগারে
কবিতায় ভরা বিছানায় শুয়ে
কবিতা লিখি গভীর রাত্রে।



চারিদিকে ভোরের সকাল
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু
উজ্জ্বল আলোয় ভরপুর।
নীল মেঘেরা সব সাদৃশ্য মেলে ধরে
আকাশের কোণে কোণে
শেষ বিকেলের অপেক্ষাতে।



এই মৃত্যুর কারাগারে
বন্দী আমি কবিতা লেখার বশে,
একাকী অনুভূতির রাতে
ঘুমিয়ে পড়েছি কবিতা লিখতে লিখতে।।


         ৩০/০৬/২০২১