নৈঃশব্দ্যের অভিজ্ঞান আমি—শব্দহীন স্বরবৃত্তে বাঁধা,
অন্তর্হিত ব্যাকরণে আমার যাপন, নির্বাক অথচ ভাষাসম্পূর্ণ।
চেতনার চিত্রলিপিতে আঁকি এক অনন্ত বিমূর্ততা,
যেখানে আলো ও ছায়া—উভয়েই আমার সহচর।
স্বপ্নের আয়তনে মেপে দেখি আত্মার সংকোচন,
সময়-স্রোতে গৃহীত মুহূর্তেরা হয়ে যায় প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি।
তুমি জানতে না—প্রেম কখনো কেবল অনুভূতির নহে,
তা এক অন্তর্নিহিত বিপ্লব, অবচেতনের সম্মোহনী কণ্ঠ।
মমতা নয়, আমি আজ অনুভবের উপমাতীত প্রবাহ
ক্লেদহীন করুণা—যা নিঃসঙ্গতাকেও আশীর্বাদ জ্ঞান করে।
তোমার ছুঁয়ে যাওয়া যেন এক ক্ষণস্থায়ী ব্যাকরণচ্যুতি,
যেখানে হৃদয় হারায় তার নিজস্ব সংজ্ঞা।
আমি অস্তিত্বের সংকেতলিপি, দেহ নয়—ধারণার অনুকৃতি
যেখানে প্রেমের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণও ব্যর্থ এক অনুবাদ।
তুমি যদি বোঝো—তবে জেনো আমি নিঃশেষ নই
বরং আমি সেই শূন্য যা নিজেই অনন্ত ধারণ করে।
আমি এক নিঃশব্দ দর্শন—যেখানে হৃদয়ই শ্রেষ্ঠ অভিধান।।