ফুটপাথের ধারে একদল নেড়ি কুত্তার চিৎকার............                        
লড়াই চলছে খাবার নিয়ে, মানুষ আর পশুর হাহাকার।
নির্ভয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে কেটে যায় রাতের পর রাত..............
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে কি পোঁছায় তাদের যন্ত্রণার আর্তনাদ?
কি হবে ভেবে, নিজে আছি তো সুখে,
তা যতই এই ভারতের কাঁধ যাক ঝুঁকে।


রাতের অন্ধকারে, দিল্লীতে হয়েছিল, নির্ভয়ার পাশবিক ধর্ষণ,
পাশবিক? পশুরাও কি এত পিশাচ?
না। এরা আসলে মানবিকতাকে বর্জন করেছে .............
কঠোর শাস্তি- ফাঁসি, কি শান্তি দেবে ওর আত্মাকে?
দিকে দিকে আনাচে কানাচে আজ ভরে গেছে হাজার হাজার ধর্ষকে...
হে ভগবান, হে ঈশ্বর কর না এদের ক্ষমা,
না হলে আমরা ভুলে যাব সুস্থভাবে বাঁচা।


তথাকথিত মাথারা বলে ভারত নাকি এগোচ্ছে......................
কোথায়? তা হলে কিভাবে অশিক্ষার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে?
যোগ্য বেকাররা লাইন দিয়ে চাকুরীর দরজায় কড়া নাড়ছে.......
আর অযোগ্য অকম্মের ঢেঁকিরা আকাশ থেকে অট্টহাসি হাসছে।
অন্ধকারে ডুবে হাজার হাজার গ্রাম কাঁদছে..............................
আর ঝলমলে আলোতে চিয়ার লিডাররা নাচছে।
আগুন বাজারে না খেতে পেয়ে মানুষ ধুকছে............................
কি করে আশা করি ফুটবল মাঠে ভারত দৌড়চ্ছে?


ঐ যে মিটিং হচ্ছে, কত কথা কত মিথ্যে প্রতিশ্রুতি.....
নিজের গা বাঁচিয়ে, একে অপরের পা ধরে টানাটানি।
সকালে খবরের কাগজ দেখে আড্ডাতে গালাগালি................
প্রশ্ন করি কি কখন নিজেকে, আমি কতটা শুদ্ধতার পূজারী?
কতদিন আর এইভাবে চোখ ঘুরিয়ে থাকব নিজসুখে নিমজ্জিত?
আমার সমাজ, তোমার সমাজ যে আজ আমাদের হাতেই ধর্ষিত।


বসে আছি বাসে, পাশে এসে দাঁড়াল এক শববাহী গাড়ী...............
দেখলাম ফুল দিয়ে ঢাকা সেই অন্তিম পথের যাত্রী।
এই ঘটনা তো আজকের নয় চিরন্তন.....................
যাবার আগে তাই ভাবি কিভাবে মূল্যায়ন করব নিজের চিত্রাঙ্কণ?


না আর নয়, বড্ড দেরী হয়ে গেছে..........................
এবার তো আমরা ঘুম ভেঙ্গে উঠি, সজাগ হয়ে জেগে।
আমরা কি পারিনা, ঘুন ধরা স্তব্ধ হয়ে যাওয়া সমাজের দরজায়,
সজোরে এক লাথি মারতে......
সত্যিকারের এক নবজাগরণের সূচনা করতে?


বৃথা এত কথা..................................
কি হবে ভেবে, নিজে আছি তো সুখে.......
তা যতই এই ভারতের কাঁধ যাক ঝুঁকে।