আলো দিয়ে, দিয়ে রাতের সব তারা গেছে নিভে।
দায়ভার নেই কোনোও আর সময়ের কাছে।
অশ্বত্থের শাখা নিয়েছে মেখে শরীরে শতাব্দীর মলম অন্ধকার।


তবু আজও বিধবা-চাঁদের-রাত, জাগে কৌতুকে।
কাক ডেকে ওঠে ভোর ভোর ভেবে।
হীম কালপুরুষ মণ্ডলে মৃত চোখেরা সাক্ষী রয় অপলক তার।


কে চায় এই আমোঘ প্রহর গোনা!
কত ছায়াপথ চলে রূপালী তারারা নিভে হয় ছাই!
প্রেম মায়া ভুলে, কেন সেই প্রখ্যাত প্রাচীন হয়!
জানা ছিল কি পৃথিবীর সময় কখন তার শেষ হয়!


ভীজেছে কি সেও, সাথে নিয়ে এক জীবন, অনেক বৃষ্টির গল্প?
কান, তার শুনেছে কি যৌবন-কথা, ঠোঁট ছুঁয়েছে ভীজে-অঙ্গিকার!
ঘাম ঝরেছে তার এক একটি দিনের জীবন ব্যস্ততায়।
প্রশমিত হয়েছে বুঝি জীবিকার তরে গ্লানি,
রোজকার দেখন হাসি, প্রাতঃকালের কুশল বিনিময়।


পায়ের নীচে শুকনো পাতায়
একদিন হেমন্ত এসে গেছে নিরবে তারও।
চোর কাঁটা এসে ঘিরেছে ঠিক,
হেঁটে যাওয়া পথ নিবিড় করে আরো।